বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নান্দাইলে যুগের হাওরে সেই স্থানে সতর্কবাণী সাইনবোর্ড দিলেন উপজেলা প্রশাসন এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই

স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে দিশেহারা স্ত্রী সন্তানদের সংবাদ সম্মেলন

মোঃ ইব্রাহীম খলিল ,পটুয়াখালী:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৮০৬ বার পঠিত

বৈবাহিক জীবনের ২৭ বছর অতিবাহিত করে ৫৩ বছর বয়সী দিশেহারা মাহমুদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেছে।

২১শে অক্টোবর সন্ধায় পুরাতন টাউন হল সংলগ্ন পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে মাহমুদা বেগম উপস্থিত হয়ে স্বামী মোঃ আল আসাদ এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীর সঙ্গে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরুয়া কন্যা মেহেলী আফরোজ সুপ্তি ও ১০বছর বয়সী ছেলে ইয়াসির আল ফাইজান।

লিখিত বক্তব্যে মাহমুদা আক্তার বলেন, বিয়ের সময় আমার স্বামী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে উন্নয়ন খাতে অবৈতনিক কম্পিউটার অপারেটর কাম টাইপিস্ট পদে কর্মরত থাকায় সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ চালানো তার পক্ষে সম্ভব ছিল না তদুপরি আমি আমার পিতা অত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে, খেয়ে না খেয়ে, অতি কষ্টে সংসার যাপন করেছি।

পরবর্তীতে ২০১০-১১ সালে আমার স্বামী মোঃ আল আসাদ এর চাকুরী রাজস্ব খাতে অর্ন্তর্ভুক্ত হলে কষ্টের দিন শেষ হবে ভেবে স্বপ্ন দেখি। কিন্তু স্বপ্ন অল্প দিনের মধ্যেই দুঃস্বপ্নে পরিনত হতে থাকে রাজস্ব খাতে চাকুরী হওয়ার পর এককালীন যে বেতন পেয়েছিল তার সাথে আমার ব্যক্তিগত প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ-অলংকারের বিক্রির টাকা যোগ করে পরিবারের মাথা গোজার জন্য যৌথ ভাবে জমি কেনার কথা থাকলেও আমাকে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র আমার স্বামীর নামে দলিল রেজিঃ করা হয়।

এখানেই শেষ নয়। আমার স্বামীর চাকুরী স্থায়ী হবার পর থেকে দিন দিন সে পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। অফিস থেকে বেতন ভাতা যা পায় পরিবারের কাজে ব্যয় না করে নানা অনৈতিক কাজে ব্যয় করে। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ সংসারে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং তা প্রায় শেষ অবস্থা। ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ দেয় না। বাসায় বাজার করে না। এক কথায় পরিবারে সদস্যদের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা সে পূরন করে না। অথচ বাসায় প্রতিনিয়ত আমি এবং আমার সন্তানদের উপর নানা ভাবে নির্যাতন নিপিরন অত্যাচার করে। তার অমানুষিক নির্যাতনে আমি বহুবার আহত, জখম রক্তাক্ত হয়েছি এর জন্য সে ঔষধেরও কোন ব্যবস্থা করে না। সীমাহীন নির্যাতন সইতে না পেরে আমি আইনের আশ্রায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আদালতে মামলা দিয়েছি। কিন্তু আমার স্বামীর ভাড়াটে শুন্ডাদের ভয়, ভীতি, বাঁধা ও হুমকীতে কোটে মা ও মেয়ে উপস্থিত হতে পারি নাই। যার ফলে আইনী প্রতিকারের ন্যায় সঙ্গত অধিকার থেকে আমি বার বার বঞ্চিত হয়েছি। সরকারী চাকুরী করেন বিধায় সে শুধু বাসা ভাড়া দেয় লোক দেখানো, আর কিছুই করেনা। আমি এবং আমার সন্তানদের প্রতি তার কোন দায় দায়িত্ব নেই এটা সে বারবার জানিয়ে দেয় এবং বাসা থেকে বের করে দেয়।

স্বামীর নির্যাতনে আমি ও আমার সন্তানদের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সর্বশেষে জানাতে চাই আমার স্বামী কিছু দিনের মধ্যে অবসরে যাচ্ছে। বর্তমানে তার এলপিআর চলছে। আমি এবং আমার সন্তানরা যাতে পেনশন ভাতা থেকে বঞ্চিত হই তার জন্য সে চেষ্টা চালাচ্ছে। সে আমাকে তালাক দিয়েছে বলে প্রতি নিয়ত জানাচ্ছে। তার কার্যকলাপ দেখে ও লোক মুখে শুনতে পাচ্ছি পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করেছে।

আপনারা জাতির বিবেক ও দর্পন। আমি এক নির্যাতিত নারী। দুই সন্তান নিয়ে এমন কষ্ট করছি যে, এর কোন শেষ নেই। এতটি বছর সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে নিজের সর্বোস্ব দিয়ে স্বামীর সুখের জন্য চেষ্টা করছি। অথচ সেই স্বামী আজ আমার ৫৩ বছর বয়সে আমাকে ছেড়ে অন্য নারী নিয়ে ঘর বাধার চেষ্টা করছে। আমার সন্তানদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করার ষরযন্ত্র করছে। আপনাদের লিখনির মাধ্যমে বিষয়টি নিজ নিজ গনমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করে এই অনৈতিক অত্যাচার ও কর্মকান্ডের প্রতিকারে সহয়তা করবেন। যাতে করে আমি ও আমার সন্তান প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা পাই এবং আমার সন্তান দুটি নিয়ে সুস্থ্য ও সামাজিক ভাবে বাস করতে পারি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..