শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

৩০ বছর বয়সে মাথায় টাক পড়ার কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৭১ বার পঠিত

পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে বংশগত প্রভাবকেই সাধারণত বেশি দায়ী করা হয়। বিশেষ করে ‘মেল প্যাটার্ন বল্ডনেস’। তবে এই সমস্যা জীবনধারা ও পরিবেশগত কারণে দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে। ৩০ বছরে পা দিতেই অনেক পুরুষ চুল পড়ার সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। যা সময়ের সঙ্গে টাক পড়ার দিকে এগিয়ে যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কারণ এবং প্রতিকার।

৩০ বছর বয়সে মাথায় টাক পড়ার কারণ

স্থবিরতা: দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবে নষ্ট হয় শরীরের হরমোনের ভারসাম্য, যা চুল পড়ার বড় একটি কারণ।
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে বাড়িয়ে দেয় কর্টিসল হরমোন, যা চুলের ফলিকল দুর্বল করে এবং বাড়ায় চুল পড়ার হার।
অপর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চুলের ফলিকল পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না, ফলে শুরু হয় চুল পড়া।
পুষ্টিহীন খাবার: প্রক্রিয়াজাত ও পুষ্টিহীন খাবার খাওয়ার ফলে শরীর হরমোনের ভারসাম্য হারায় এবং চুল দুর্বল হয়ে যায়।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ডিএইচটি (ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন) হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টাক পড়া শুরু হয়।
চুল পড়া প্রতিরোধের উপায়

চুল পড়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিন। কিছু নিয়মিত অভ্যাস গ্রহণ ও পরিবর্তনের মাধ্যমে টাক পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পুষ্টিকর খাবার খান

প্রোটিন: ডিম, মটরশুঁটি, এবং চর্বিহীন মাংস খান।
ভিটামিন ই ও বায়োটিন: অ্যাভোকাডো, বীজ এবং বাদাম চুলের ফলিকল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আয়রন ও জিঙ্ক: পালংশাক, ডাল এবং বাদাম খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও জিঙ্ক থাকে।
মাথার ত্বকের যত্ন নিন

নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল, নারকেল তেল বা বাদামের তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
সালফেটবিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে।
প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করুন

পেঁয়াজের রস: এতে থাকা সালফার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ২০ মিনিট মাথায় পেঁয়াজের রস রেখে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন-টি: গ্রিন-টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডিএইচটি হরমোন কমায়। ঠান্ডা গ্রিন-টি মাথার ত্বকে লাগান।
অ্যালোভেরা: এটি মাথার ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। প্রতি সপ্তাহে তাজা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন

নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা রিল্যাক্সেশনের অভ্যাস করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
রাসায়নিক চিকিৎসা ও তাপভিত্তিক সরঞ্জামের ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন।
সঠিক যত্ন এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন চুল পড়া রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই এখন থেকেই সচেতন হোন এবং আপনার চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখুন। এরপরও চুল পড়া না কমলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..