পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন উপজেলা যুবলীগ ও উপজেলা শ্রমিকলীগের ২ নেতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ( ৬ মার্চ) পৃথক স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম লোটাস শিকদার ( ৪৮) এবং উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও পূর্ব সুবিদখালীর মৃত মুনসুর হাওলাদারের ছেলে নিজাম হাওলাদার ( ৪৮) ও পশ্চিম সুবিদখালীর শামসুল মৃধার ছেলে রুবেল মৃধা ( ৩৬), মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের করিম মৃধার ছেলে মিরাজ মৃধাসহ আরও একজন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নিজাম হাওলাদার ও রুবেল মৃধা মাদক নিয়ে আসতেছে’
এমন তথ্য পেয়ে পটুয়াখালী- মির্জাগঞ্জ সড়কের কপালভেরা স্টিল ব্রিজের কাছে পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মোটরসাইকেলে নিজাম হাওলাদার ও রুবেল মৃধা পয়রাগঞ্জ থেকে সুবিদখালীর দিকে আসতে ছিলো। পুলিশ তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি করে।
এসময় রুবেল মৃধার প্যান্টের ডান পকেটে রাখা ৯০ পিচ ইয়াবা উদ্ধারসহ তাদের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অপরদিকে একই সময় সুবিদখালী দারুস সুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসার সামনে থেকে মির্জাগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও মারামারির মামলায় মিজাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লোটাস শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও ইয়াবাসহ একজনকে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এক আসামিকে আটক করে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) শামীম আহমেদ বলেন, আসামি নিজাম হাওলাদার ও রুবেল মৃধাসহ ৩ আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং জহিরুল ইসলাম লোটাস শিকদারকে চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও মারামারি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিকেও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।