বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
লঞ্চের ধাক্কায় নিখোঁজ রায়হানের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের আর্থিক অনুদান তালতলীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, নৌবাহিনীর ব্যাপক লাঠিচার্জ হরিরামপুরে পরিবেশ বিধ্বংসী ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করলেন ইউএনও কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু নারীর পাশে দাঁড়ালেন কায়কোবাদ পদ্মায় জেলের ভেসাল জালে ধরা পড়ল বিশাল বোয়াল বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটির সমন্বিত কার্যক্রম নান্দাইলে ৮ প্রতিবন্ধী পেল হুইল চেয়ার ভূতাইল সেতুবন্ধন প্রবাসী মানব কল্যাণ সংগঠনের কার্যালয়ের উদ্বোধন বরগুনায় ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু অভিযোগ কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় গ্রেপ্তার ৪যুবকের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন

বিয়ানীবাজার ১৫০ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস অচল

কামরান হোসেন
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ৫৭৭১ বার পঠিত

সিলেটের বিয়ানীবাজারের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ কোনো কাজে আসছে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি ৩-৪) আওতায় বিয়ানীবাজারের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, মডেম-সিম, ওয়াই-ফাই রাউটারসহ নানা সরঞ্জাম। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাই রাউটারের জন্য প্রতি মাসে ৪০০ টাকার প্যাকেজে ২০ জিবি ডেটাও সরবরাহ করা হচ্ছে। একটি ওয়াই-ফাই রাউটারের মাধ্যমে এ ইন্টারনেট সংযোগ সর্বোচ্চ ১০ জন শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। আবার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকায় দুটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। তবে বিতরণের আগে এসব বিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি ট্রেনিং) দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব শিক্ষাসামগ্রী অনেক শিক্ষক রেখেছেন নিজের বাড়িতে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় পর্দায় (প্রজেক্টর) কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এছাড়াও মনোযোগ আকর্ষণ ও সহজে পাঠ রপ্ত করানো এবং স্কুলের যাবতীয় তথ্য ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেমে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে সরকার পিইডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ সরবরাহ করা হয়েছে।

স্কুলগুলোর একজন করে শিক্ষককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি ট্রেনিং)-বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলের ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও মডেম শিক্ষক ও নৈশপ্রহরীরা রেখেছেন নিজের বাড়িতে। ফলে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। এতে করে বিদ্যালয়ের শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব ব্যক্তিগত ডিভাইসে ব্যবহার করে শেষ হচ্ছে সরকারি টাকায় কেনা ডেটা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয় ল্যাপটপ পেয়েছে, কোনো বিদ্যালয় ল্যাপটপ পেলেও প্রজেক্টর পায়নি। প্রজেক্টর পেলেও ল্যাপটপ পায়নি, এমন বিদ্যালয়ও আছে। কিবোর্ড অকেজো, ব্যাটারি ও সাউন্ডে সমস্যার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। বিতরণ করা ল্যাপটপ, প্রজেক্টরের মধ্যে কতটি বর্তমানে সচল আছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব।বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই রাউটার বিদ্যালয়ের চেয়ারের নিচে কিংবা টেবিলে লাগানো রয়েছে। বন্ধের দিন রাউটার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও মডেম অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। শিক্ষকদের দাবি, স্কুলে চুরির ভয়ে তারা বাড়িতে নিয়ে রাখেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা পারভেজ তালুকদার বলেন, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তবে উপজেলার সবক’টি নয়, এখনো ১২-১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল ক্লাসের আওতায় আসেনি। সরকারি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, রাউটার ও মডেম বিদ্যালয়ে থাকা বাধ্যতামুলক। প্রধান শিক্ষক ও নৈশপ্রহরীর বাড়িতে থাকার বিষয়ে কিছু জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বাধ্যতামূলক। কেন নেওয়া হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..