বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খলাপাড়া সি এন্ডবি রোড থেকে সরাসরি রাস্তা চায় বনাটি গাংগাইল পাড়াবাসী বিয়ানীবাজারে গরমের তীব্রতা, দূর্ভোগে মানুষ মেহেরপুরে করোনা প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ জেলা প্রশাসকের ঐতিহ্যবাহী পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হলেন সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার বরগুনায় ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ১ হাজার ৮৩৮ জন আমতলীতে মিথ্যা মামলা করায় বাদীর কারাদণ্ড আমতলীতে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস ‎বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ শত ছাড়িয়েছে: পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ীর জমি যবর দখল করলো ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ভুয়া সাংবাদিক আটক

কুয়াকাটা পর্যটন নগরে পল্লী বিদ্যুতের অলসতা

মনজুর মোর্শেদ তুহিন
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ৫৭৯২ বার পঠিত
১৯৯৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রটি ২০১০ সালে সরকার পৌরসভায় ঘোষণা করে। নান্দনিক পৌরসভা ও পর্যটন নগরী হিসেবে গঠন করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি হচ্ছে প্রসস্ত রাস্তা ঘাট, বাস স্টান্ড, আবাসিক ও খাবার হোটেল সহ প্রশাসনিক নিরাপত্তা। পর্যটন নগরকে নান্দনিক করার লক্ষ্যে সরকারের সমস্ত দপ্তর নিরালস ভাবে কাজ করলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকান্ডে রয়েছে উদাসীনতা।
জানা যায়,সরকার পতন পরবর্তীতে নতুন পৌর প্রশাসক এর পরিকল্পনায় পর্যটকদের আরও  দৃষ্টি আকর্ষণে কুয়াকাটাকে যানজটমুক্ত ও নান্দনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নগরের অধিকাংশ রাস্তা ঘাট অত্যন্ত সুন্দরভাবে তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি পর্যটন নগরীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের এলজিইডি রেস্ট হাউজ থেকে হিড বাংলা সড়কের মধ্যে অবস্থিত ৫ টি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের জন্য গত ১৩ই মার্চ কুয়াকাটা পৌর প্রশাসন থেকে পল্লী বিদ্যুৎকে অনুরোধ করেন কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেই চিঠির  কোন প্রতি উত্তর কিংবা খুটি সারানোর কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আরও জানা যায়, পর্যটন নগরীর শুরুর প্রাক্কালে ১৫ থেকে ২০ ফুট রাস্তার দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও পল্লী বিদ্যুতের অপরিকল্পিত প্লান এর মাধ্যমে বসানো হয় বিদ্যুতিক খুঁটি। নগর উন্নয়নের কাজ চলাকালীন বিভিন্ন সময়ের জনপ্রতিনিধিরা পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ খুটি সারাতে ব্যয়বহুল খরচের অজুহাত দেখিয়ে কখনোই তা আমলে নেয়নি। বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও ড্রেন নির্মান করার পরও বৈদ্যুতিক খুটি গুলো আগের জায়গায় রয়ে গেছে যা এখন জনদুর্ভোগ ও যানবাহন চলাচলের বাধা সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে খুটির সাথে ধাক্কা লেগে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনার ঘটেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় সময়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বরাবর ভ্যান গাড়ি পার্কিং করায় রাস্তায় চলাচল অনেক কষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে এই খুঁটির কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক নাড়ী পর্যটকের পা ভেঙে যায়।
সারজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তায় তিন কিলোমিটার এর মধ্যে অন্তত ১৫ টি পল্লী বিদ্যুতের খুটি রয়েছে। অন ওয়ে কার্পেটিং করা রাস্তায় চলাচলকৃত যানবাহন গুলো বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশ দিয়ে খুব সাবধানে এবং ধীর গতিতে চলাফেরা করে। রাস্তার দুই ধারে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আবাসিক হোটেল। বৈদ্যুতিক খুটি গুলো এখনই অপসারণ করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে পর্যটন নগরবাসীকে পড়তে হবে চরম বিড়ম্বনায়।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসিন সাদেক  বলেন, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌরসভাকে আরো নান্দনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো পৌরসভার গলার কাঁটা। খুটি অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবগত করেছি। তারাই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে এবং নান্দনিক পৌরসভা গড়তে সহযোগিতা করবে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মোঃ আবুল কাশেম  বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে আমাদেরকে চিঠি দেয়ার পর আমরা তাদেরকে স্টিমেট করে চিঠি পাঠিয়েছি তবে তারা কোন টাকা পয়শা জমা দেয় নাই বিধায় আমরা কোন সাহায্য করতে পারছি না। যদি নিতান্তই তাদের ফান্ড না থাকে তবে তারা আমাকে চিঠি প্রদান করলে আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানাব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..