সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান বন্দরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক দাওয়াত না পেয়ে মাদ্রাসার খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ। তাড়াইলে প্রশংসায় ভাসছেন ৫৬৫দিনে হিফয সম্পন্ন করা হাফেজ ফুয়াদ ২৬ বছর থেকে ছাত্র সংসদ নেই বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে, অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই নান্দাইলে রাজগাতী ইউনিয়নে দুটি উঠোন বৈঠক ও বিএনপির অফিস উদ্বোধন করেন ইয়াসের খান চৌধুরী মুরাদনগরের পরমতলায় বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত আমতলীতে ক্রাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র দুই বংশের সদস্যদের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত-২৫

ঝালকাঠিতে ৩৫ লাখ টাকার সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

আমির হোসেন
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৫৭৮৫ বার পঠিত

ঝালকাঠির রাজাপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কাটাখালি ব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে প্রায় ১৯শ ২০ মিটার দীর্ঘ সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার এবং বিটুমিন কম দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সিয়াম ট্রেডার্স’ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে মানহীন ইটের খোয়া ব্যবহার এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করা হয়েছে। তদারকি সংস্থার উপস্থিতি থাকলেও তারা কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই তারা কাজের মান নিয়ে আপত্তি করে এলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। বরং বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেই কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং মানহীন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি নষ্ট হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে কাজের ঠিকাদার মাহমুদুর রহমান জানান, “এটি এলজিইডির জিওভি মেইনটেনেন্স প্রকল্প। ১৯শ ২০ ফিট দৈর্ঘ্যের এই সড়কে ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। স্টিমেটে ২৫ মিলিমিটার বিটুমিন থাকলেও আমরা ২৭ মিলি করে দিচ্ছি। সব কিছু নিয়ম মেনে করা হচ্ছে। বরং কিছু স্থানীয় লোকজন অনৈতিকভাবে টাকা দাবি করেছিল, না দেওয়ায় তারাই এখন অভিযোগ করছে।”
তবে প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা রাজাপুর এলজিইডি অফিসের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট উজ্জ্বল হোসাইন বলেন, “নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ইঞ্জিনিয়ার স্যার সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি শুধু তদারকির কাজ করছি।”

এদিকে, রাজাপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী অভিজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, “কাজে অনিয়ম হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঝালকাঠি জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকার জানান, “রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে এমন মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরপরই উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে এক টাকাও বিল দেওয়া হয়নি। তদন্ত করে অনিয়ম প্রমাণিত হলে কোনো বিল দেওয়া হবে না।”

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..