পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তরিকুল ইসলাম।
গত (২০ জুন) শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে মেয়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বরের নাম কাওসার সরদার (২২)। তিনি পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের কালাম সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন কাওসার সরদারের সাথে কাকড়াবুনিয়া গ্রামের কামাল গাজীর ১৬ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিক ও থানা পুলিশ জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়। পরে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শামীম আহমেদ মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে, বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে উভয় পক্ষকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। এরপর রাত ৯ টার দিকে উভয়পক্ষ মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় উপস্থিত হয় এবং সেখানে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ইং এর ৭/১ ধারা ভঙ্গের অপরাধে ছেলে পক্ষকে ২০০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছি এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ছেলে পক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, সেইসাথে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে।