আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনা আমতলী উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমিরদখল নিয়ে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (০৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- আমিনুল ইসলাম খোকা (৪২) মো: আবু জাফর( ৫২), তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন (৪৫) তার শশুর মো: শামসুল আলম (৭৫)। এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম খোকাকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও আবু জাফর, নিলুফা ও সামসুল আলমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই- বাংলা মেডিকলে কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, আমিনুল ইসলাম খোকা বাড়ির পিছনে বিরোধপূর্ণ জমির আজ সোমবার শালিসি বৈঠকের কথা হয়। তবে শামসুল আলম শালিশ বৈঠকে বসার কথা বলে গতকাল শনিবার আমিনুল ইসলাম খোকার বাড়িতে কেউ না থাকায় ও ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে বেড়া দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে। সন্ধ্যায় আমিনুল ইসলাম খোকা বাড়িতে এসে বেড়া দেখতে পেয়ে শামসুল আলম বেড়া দেওয়ার কারণ যানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়।
আহত আমিনুল ইসলাম খোকার স্ত্রী বলেন, ওই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে। একাধিক বার শালিম বৈঠক হয়েছে কিন্তু প্রতিপক্ষ শামসুল আলম শালিসদের দেওয়া রায় মানে না। এ নিয়ে সোমবার শালিস বৈঠকে বসার কথা ছিলো তবে গতকাল শনিবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বিরোধীপূর্ণ জমিতে বেড়া দিয়েছে শামমুল হক। আমার স্বামী আমিনুল ইসলাম খোকা বাড়ি ফিরে ঘরের তালা খুলে পিছনের দরজা ভাঙা ঘরের জিনিস পত্র এলোমেলো পিছনে গিয়ে চাচা শামসুল আলমকে দেখতে পায়। তখন শামসুল আলম জমিতে বেড়া দিতেছে। ঘরের দরজা ভাঙা ও জমিতে বেড়া দেওয়ার কারণ যানতেন চাইলে আমার স্বামীকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। এখন আমার স্বামী পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এছাড়া, ঘরথেকে ৭০ হাজার টাকা ও গলার সেট ও রুলি নিয়ে যায়।
শামসুল হক অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার সকালে আমার নিজস্ব ভোগ দখলীয় জমিতে আমের চাড়া রোপন করে বেড়া দিয়েছি। সন্ধা আমিনুল ইসলাম খোকা, হুমায়ুন কবির ও মো: আল আমিন ব্যাড়া ভেঙ্গে ফেলে ও গাছের চাড়া উপড়ে ফেলে আমি বাঁধা দিলে তারা আমাকে ও আমার মেয়ে, মেয়ের জামাতাকে কুপিয়ে যখম করে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, এবিষয়ে আবু জাফর মাস্টার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।