বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ফৌজিয়া সাফদার সোহেলী হাতিয়ার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি অঙ্গীকার ৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল অনিয়ম, ঘুষ,দুর্নীতির আখড়া প্রাণ-আরএফএলের নামে বিষাক্ত পন্য তৈরির অভিযোগ এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম হঠাৎ অস্থির ডালের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা প্রচলিত প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান

নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

রিয়াজুল ইসলাম, হাতিয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭৫০ বার পঠিত
মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম------------------- সংগৃহীত ছবি

নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম (পিতা: আবুল কালাম)-এর বিরুদ্ধে এক তরুণীকে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে সামাজিক চাপের মুখে উভয় পক্ষের সমঝোতায় ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম ইসলামি যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন সদস্য। একইসঙ্গে তিনি নামার বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং নিকটবর্তী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

ঘটনার দিন শাহেদুল ইসলামের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তিনি কৌশলে মেয়েটিকে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। এরপর টানা তিনদিন ধরে জিম্মি করে মেয়েটিকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনদিন পর মেয়েটি বাসায় ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান। প্রথমে মেয়েটি বান্ধবীর বাসায় থাকার কথা বললেও পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, স্থানীয় মুয়াজ্জিন তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নামার বাজার মসজিদে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধর্মীয় দায়িত্বে নিয়োজিত একজন মুয়াজ্জিন ও শিক্ষক যদি এ ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত হন, তবে তা সমাজের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। অনেকেই মনে করছেন, সামাজিক চাপের কারণে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও এটি আইনি বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে পরিবার ও সমাজের চাপে বিয়ের মাধ্যমে আপাত সমাধান করা হলেও অন্যদিকে ন্যায়বিচারের দাবিতে অনেকেই সরব হয়েছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..