বাবা প্রতিবন্ধী ছিলেন, বাবা ৭ বছর আগে মারা গেছেন, মা সে অসুস্থ, কোন কাজকর্ম করতে পারেনা, ভাই সে প্রতিবন্ধী, আমি নিজেও প্রতিবন্ধী, গরিব মানুষ উপার্জন করার মত কোন লোক নেই, সংসার চলে না, মা অসুস্থ শরীর নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে।
একদিন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে গেলাম, অফিসে গিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মহোদয়ের কাছে সমস্যাগুলো বললাম। তিনি কথাগুলো শুনে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় চিন্তা করে আমাকে বললো তোমাকে আমি ১০০০ বা ২০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করবো না। তোমাকে যদি একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দেই, তুমি কি দোকান চালাতে পারবে, আমি বললাম স্যার পারবো। তখন নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মহোদয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলেন, তখন সমাজসেবা অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বললেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান আওতায় ৫০০০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে। যেই কথা সেই কাজ।
শুরু করলেন অফিসিয়াল প্রক্রিয়া, প্রক্রিয়া শেষে অসহায় প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সিমার পাশে দাঁড়ালেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২০২৫ – ২৬ অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে চায়ের দোকান ও মালামাল প্রদান করেছেন প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সিমাকে।
প্রতিবন্ধী সিমা বলেন, স্যারের প্রতি অনেক খুশি, এই দোকানের মাধ্যমে কিছুটা অভাব দূর হবে।
সমাজসেবা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা তার পাশে আছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন,
তিনি আমার কাছে এসে তার সমস্যাগুলো বলেন, তারা একটি অসহায় পরিবার তাদের উপার্জন করার মত কেউ নেই,তিনি প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে তাকে স্থায়ী একটি উপার্জনে ব্যবস্থা করে দিয়েছি।