বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

ইসি গঠনে জাতীয় পার্টি যে প্রস্তাব দিলো রাষ্ট্রপতিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১৩৫ বার পঠিত

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টি (জাপা) তিনটি প্রস্তাব করেছে। এছাড়া স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে চার-পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছেন তারা।

আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ প্রস্তাবের কথা নিশ্চিত করেছেন।

জিএম কাদের আরও জানান, সংলাপে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জাতীয় পার্টি তিনটি প্রস্তাব করেছে। এছাড়া স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে চার-পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছেন তারা।

আন্তরিক পরিবেশে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি। তবে আমাদের প্রধান প্রস্তাব একটিই। সেটি হলো সংবিধানে ইসি নিয়ে যা বলা আছে সেটার বাস্তবায়ন। রাষ্ট্রপতিকে আমরা বলেছি, ইসি গঠনে আইনটি করা জরুরি। আমরা বলেছি, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠন করতে হবে যারা যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য। সে রকম লোক নিয়ে ইসি গঠন করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা আশা করছি। ইসি গঠন করলেই হবে না। তাদের কর্তৃত্ব দিতে হবে। এগুলো আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি।

জাপা নেতা বলেন, এ সময়ের মধ্যে ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন সম্ভব। কিন্তু সরকার তা মনে করছে না। এজন্য আমরা বলেছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনগুলো বলবৎ করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, এগুলো তিনি ভেবে দেখবেন।

জিএম কাদের বলেন, যদি কোনো কারণে উক্ত অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব না হয় এবং পূর্বের ন্যায় সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য জাপার পক্ষ থেকে ৪-৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আমাদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে জাপার দেয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধানে আইনের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও অদ্যবধি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কোনো আইন প্রণীত হয়নি। আমরা মনে করি, আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য উপরােক্ত সংবিধানের বিধান অনুসরণে একটি আইন করা দরকার। আইনের

উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যােগ্য ও মােটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা ।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সংবিধানের সপ্তম ভাগ, নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে। কীভাবে এটি প্রয্যোজ্য হবে বা কার্যকর করা যাবে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকা আবশ্যক। সে কারণে এ বিষয়ে একটি আইন থাকা প্রয়ােজন। যে আইনে, সহায়তা না করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে এবং কী ধরনের শাস্তি হবে তা সুস্পষ্টভাবে বলা থাকবে ।

সময় স্বল্পতার কারণে যদি সংসদে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব না হয়, তাহলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনগুলো বলবৎ করতে পারেন। যদি কোনো কারণে অধ্যাদেশ জারি সম্ভব না হয় এবং পূর্বের ন্যায় সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য জাপার পক্ষ থেকে ৪-৫ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..