বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বেতাগীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা: তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ইয়াসের খান চৌধুরী মির্জাগঞ্জে সমবায় দিবস পালিত প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি! প্রবাসে দলের গতি বাড়াতে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: দুবাই থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে স্বাগত জানালেন ইউএই কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

ভোলায় ইউপি নির্বাচন: দফায় দফায় সংঘর্ষ

ভোলা প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬০২১ বার পঠিত

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগারহাট এলাকায় একটি জানাজায় অংশ নিতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলামের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে তিনিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা ফের হামলা চালায়। এতে তিনি, তাঁর মেয়ে জান্নাত বেগম, ছেলে সুমনসহ আরও ১০ জন আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হামলার ঘটনা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, তাঁর সমর্থকেরা সকাল থেকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ির সামনে প্রচারণা চালাতে গেলে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক আহত হন।

এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী আনারস প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে আহত করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটক করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।’

এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আমি ও ডিবির ওসিসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ বর্তমানে রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..