বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আদ্ব দ্বীনের ভয়াল রাত: গর্ভবতী মা ও নবজাতকের জন্য সতর্কবার্তা: সাংবাদিক নাহিদ প্রিন্স বাঙ্গরা বাজার থানাকে উপজেলায় রূপান্তরের দাবিতে জোরালো সমাবেশ মুরাদনগরে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ মৃত্যু আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই: তারেক রহমান এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি দাবি নাহিদের শিক্ষার মানোন্নয়নে মুরাদনগর নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার মুরাদনগরে নিখোঁজের ২০ দিন পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

ভোলায় ৫৮ হাজার পরিবার বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৭৪ বার পঠিত
 সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
জেলার ৭ উপজেলায় ৫৮ হাজার ৪’শ ৭৫ জন বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী পরিবার সরকারের ভাতা সহায়তা পাচ্ছেন। এর মধ্যে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা পাচ্ছেন ৩৫ হাজার ৭’শ ৮৪ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২২ হাজার ৬’শ ৯১ জন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনপ্রতি মাসিক প্রত্যেক বিধবা পাচ্ছেন ৫’শ ও প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছেন ৭’শ ৫০ টাকা করে। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সুফলভোগীর মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে আর্থ। এতে করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পিছিয়ে পড়া বিশাল এ জনগোষ্ঠী। সমাজ সেবা বিভাগ জানায়, ভাতাভোগী মোট বিধবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ১০ হাজার ১’শ ৫১, দৌলতখানে ৪ হাজার ২’শ ১৩, বোরহানউদ্দিনে ৪ হাজার ২’শ ১০, তজুমদ্দিনে ৩ হাজার ৮’শ ১১, লালমোহনে ৪ হাজার ২’শ ৯, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ৩’শ ৩১ ও মনপুরা উপজেলায় ২ হাজার ২’শ ৫৪ জন রয়েছেন। এছাড়া পৌর এলাকায় বিধবা ভাতা পান ৬’শ ৫ জন। একইভাবে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের উপজেলা সদরে রয়েছে ৪ হাজার ৯’শ ৮৮ জন, দৌলতখানে ২ হাজার ২’শ ৫০ জন, বোরহানউদ্দিনে ২ হাজার ৬’শ ৭৭, তজুমদ্দিনে ১ হাজার ৩’শ ৭৮, লালমোহনে ৩ হাজার ৫’শ ২৬, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ১’শ ৮৮ ও মনপুরায় ১ হাজার ১ হাজার ১’শ ৫১ জন। এর বাইরে শহর এলাকায় রয়েছে আরো ৫’শ ৩৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের সমাজে একজন নারী বিধবা হলে তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। তাই সরকার উদ্যোগী হয়ে বিধবাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে ৩ মাস পর পর ভাতার ১৫’শ টাকায় ৫টি মুরগী কিনে পালন করে ডিম-বাচ্চা বিক্রি করলে সে চলতে পারে। আয়ের পথ সৃষ্টি হয়। আবার কেউ কেউ ওষুধ কেনাসহ নানান প্রয়োজনে ব্যয় করছেন এ টাকা। নজরুল ইসলাম বলেন, এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচে পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষ। তারা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ভাতা পাওয়ার ফলে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত সরকারের এসব সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে এসব মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ হচ্ছে বলে জানান জেলা সমাজ সেবার প্রধান এ কর্মকর্তা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..