মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা আমিরাত প্রবাসী সাংবাদিক ফরহাদ হোসেনের পিতৃবিয়োগে শোক নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হাতিয়ায় সিঁধ কেটে চুরি, দেখে ফেলায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম অনলাইন জুয়ার অ্যাপে ধরা পড়লেই জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা তৌহিদ আফ্রিদি ৫ দিনের রিমান্ডে মুরাদনগরের গর্ব আবিদুল ইসলাম খান: ডাকসু ভিপি পদে আলোচনার শীর্ষে পদ্মা ব্যাংক পুটয়াখালী শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চাকরীচ্যুত: অবৈধ টাকায় সোহাগের কেমিক্যাল ব্যবসা (পর্ব-১) সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন চায় ডিআরইউ ঢাকা ওয়াসা জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভা

ভোলায় ৫৮ হাজার পরিবার বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৭০ বার পঠিত
 সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
জেলার ৭ উপজেলায় ৫৮ হাজার ৪’শ ৭৫ জন বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী পরিবার সরকারের ভাতা সহায়তা পাচ্ছেন। এর মধ্যে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা পাচ্ছেন ৩৫ হাজার ৭’শ ৮৪ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২২ হাজার ৬’শ ৯১ জন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনপ্রতি মাসিক প্রত্যেক বিধবা পাচ্ছেন ৫’শ ও প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছেন ৭’শ ৫০ টাকা করে। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সুফলভোগীর মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে আর্থ। এতে করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পিছিয়ে পড়া বিশাল এ জনগোষ্ঠী। সমাজ সেবা বিভাগ জানায়, ভাতাভোগী মোট বিধবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ১০ হাজার ১’শ ৫১, দৌলতখানে ৪ হাজার ২’শ ১৩, বোরহানউদ্দিনে ৪ হাজার ২’শ ১০, তজুমদ্দিনে ৩ হাজার ৮’শ ১১, লালমোহনে ৪ হাজার ২’শ ৯, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ৩’শ ৩১ ও মনপুরা উপজেলায় ২ হাজার ২’শ ৫৪ জন রয়েছেন। এছাড়া পৌর এলাকায় বিধবা ভাতা পান ৬’শ ৫ জন। একইভাবে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের উপজেলা সদরে রয়েছে ৪ হাজার ৯’শ ৮৮ জন, দৌলতখানে ২ হাজার ২’শ ৫০ জন, বোরহানউদ্দিনে ২ হাজার ৬’শ ৭৭, তজুমদ্দিনে ১ হাজার ৩’শ ৭৮, লালমোহনে ৩ হাজার ৫’শ ২৬, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ১’শ ৮৮ ও মনপুরায় ১ হাজার ১ হাজার ১’শ ৫১ জন। এর বাইরে শহর এলাকায় রয়েছে আরো ৫’শ ৩৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের সমাজে একজন নারী বিধবা হলে তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। তাই সরকার উদ্যোগী হয়ে বিধবাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে ৩ মাস পর পর ভাতার ১৫’শ টাকায় ৫টি মুরগী কিনে পালন করে ডিম-বাচ্চা বিক্রি করলে সে চলতে পারে। আয়ের পথ সৃষ্টি হয়। আবার কেউ কেউ ওষুধ কেনাসহ নানান প্রয়োজনে ব্যয় করছেন এ টাকা। নজরুল ইসলাম বলেন, এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচে পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষ। তারা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ভাতা পাওয়ার ফলে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত সরকারের এসব সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে এসব মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ হচ্ছে বলে জানান জেলা সমাজ সেবার প্রধান এ কর্মকর্তা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..