শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি গণঅভ্যুত্থানে হত্যা-হামলার বিচার চাইলেন জুলাই যোদ্ধারা মেহেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতি প্রায় ৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সব সময় জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদান স্মরণে রাখবে: ড. ইউনূস ‘ঢাকায় শুরু হচ্ছে অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ বেতাগীতে জামায়াত ইসলামের ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারনা ও স্যালাইনসহ ঔষধ বিতরণ নান্দাইলে ট্রান্সফরমার সহ চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক মুরাদনগরে সেই নারীর ঘটনায় চার আসামীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর বেতাগীতে স্লুইস নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকদের দুর্ভোগ : ফসল আনাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ভোলায় ৫৮ হাজার পরিবার বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৫৬ বার পঠিত
 সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ভ্যুরো চিফ):
জেলার ৭ উপজেলায় ৫৮ হাজার ৪’শ ৭৫ জন বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী পরিবার সরকারের ভাতা সহায়তা পাচ্ছেন। এর মধ্যে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা পাচ্ছেন ৩৫ হাজার ৭’শ ৮৪ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২২ হাজার ৬’শ ৯১ জন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনপ্রতি মাসিক প্রত্যেক বিধবা পাচ্ছেন ৫’শ ও প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছেন ৭’শ ৫০ টাকা করে। নির্ধারিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সুফলভোগীর মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে আর্থ। এতে করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পিছিয়ে পড়া বিশাল এ জনগোষ্ঠী। সমাজ সেবা বিভাগ জানায়, ভাতাভোগী মোট বিধবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ১০ হাজার ১’শ ৫১, দৌলতখানে ৪ হাজার ২’শ ১৩, বোরহানউদ্দিনে ৪ হাজার ২’শ ১০, তজুমদ্দিনে ৩ হাজার ৮’শ ১১, লালমোহনে ৪ হাজার ২’শ ৯, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ৩’শ ৩১ ও মনপুরা উপজেলায় ২ হাজার ২’শ ৫৪ জন রয়েছেন। এছাড়া পৌর এলাকায় বিধবা ভাতা পান ৬’শ ৫ জন। একইভাবে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের উপজেলা সদরে রয়েছে ৪ হাজার ৯’শ ৮৮ জন, দৌলতখানে ২ হাজার ২’শ ৫০ জন, বোরহানউদ্দিনে ২ হাজার ৬’শ ৭৭, তজুমদ্দিনে ১ হাজার ৩’শ ৭৮, লালমোহনে ৩ হাজার ৫’শ ২৬, চরফ্যাসনে ৬ হাজার ১’শ ৮৮ ও মনপুরায় ১ হাজার ১ হাজার ১’শ ৫১ জন। এর বাইরে শহর এলাকায় রয়েছে আরো ৫’শ ৩৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী।
জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের সমাজে একজন নারী বিধবা হলে তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। তাই সরকার উদ্যোগী হয়ে বিধবাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে ৩ মাস পর পর ভাতার ১৫’শ টাকায় ৫টি মুরগী কিনে পালন করে ডিম-বাচ্চা বিক্রি করলে সে চলতে পারে। আয়ের পথ সৃষ্টি হয়। আবার কেউ কেউ ওষুধ কেনাসহ নানান প্রয়োজনে ব্যয় করছেন এ টাকা। নজরুল ইসলাম বলেন, এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচে পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষ। তারা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ভাতা পাওয়ার ফলে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত সরকারের এসব সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে এসব মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ হচ্ছে বলে জানান জেলা সমাজ সেবার প্রধান এ কর্মকর্তা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..