বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৪ শিশু নান্দাইলে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ইউএনওর ভিজিএফ চাল বিতরণ ভোটাধিকার চাইলে সেটি যদি ‘অপরাধ’ হয়, তবে বিএনপি সেই ‘অপরাধ’ বারবার করবে: ড. কাজী মনির গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা স্থিতিশীল বাজারে স্বস্তিতে ক্রেতারা : আসিফ মাহমুদ সমৃদ্ধির পথে যেতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মুজিবনগরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হবে জাপান, বাড়বে সে দেশের বিনিয়োগও : প্রেস সচিব এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট

তথ্য গোপন করে ২৫বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন সফিকুল!

বরগুনা প্রতিনিধি :
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৬০৮২ বার পঠিত

বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্নাতকোত্তর পাসের ভুয়া সনদ দাখিল করে ২৫বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। যার ডকেট নং ২৮১, তারিখ : ০৬.০২.২০২৩ ইং।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, জনবল কাঠামো ৯৫’র বিধিমালা লংঘন করে ১৯৯৫ তে অনার্স ফাইনাল বছরের ছাত্র থাকাকালীন তাকে ইংরেজি প্রভাষক পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সালের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করতে পারলে তার নিয়োগ বৈধ বলে গন্য হবে। এই শর্ত বেসরকারী স্কুল ও কলেজ বিধি বর্হিভ‚ত। তবে ১৯৯৮ সালে স্নাতকের ছাত্র থাকাকালীন ২য় বিভাগে উত্তীর্ন দেখিয়ে নিয়োগ বৈধ করা হয়। ২০০১ সালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ৩য় বিভাগে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে তৎকালীন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিলে তদন্তে এই জালিয়াতি ধরা পরে বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০৫ সালে তিনি (অধ্যক্ষ) কলেজ থেকে ইস্তেফা দিলে গভনিং বডির সভায় তার ইস্তফা পত্র অনুমোতিত হয় এবং তাকে এমপিও ভ‚ক্ত না করার জন্য তৎকালিন অধ্যক্ষ লিখিত ভাবে শিক্ষা বোর্ড কে অবহিত করেন। শিক্ষা বোর্ড সফিকুল ইসলামের ইস্তেফা পত্রসহ গভনিং বডির প্রস্তাব অনুমোদন করে। তার এমপিও বন্ধ করে দেন।

২০০৯ সালে সফিকুল ইসলামকে নতুন গভনিং বডি পূনঃ নিয়োগ দেন যা অবৈধ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সফিকুল ইসলামের জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ নেয়ার বিষয়টি তদন্তের দাবী করা হয়েছে অভিযোগে।

অভিযোগকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, সফিকুল ইসলামের আপন মামা গভর্নিং বডির সভাপতি হাওয়ায় তাকে অবৈধ ভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে বিধিমালা লংঘন করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে হয়রানী করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। ২০০৫ সালে আমি এই ষড়যন্তকারীদের চাপের মুখে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..