শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ত্রিকাল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা গাইবান্ধায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত ১ রংপুরে ব্যাংকের সিকিউরিটির কাছ থেকে ৩টি বন্দুকসহ ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার গাইবান্ধায় কিশোরীকে উদ্ধারের সময় র‌্যাবের ওপর হামলা, গ্রেফতার ৩ রংপুরে ভাস্কর্য অর্জন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি মুছে দিল জুলাই যোদ্ধারা তিস্তা নদীতে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার শান্তি মার্ডির পায়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বপ্নে ভাসছে দেশ গোপালগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর বক্তব্য গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হলদিয়া গুরুদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতির পরিচিতি সভা

“ভিটামিন-এ” ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৯২১ বার পঠিত

রাজধানীর মহাখালীস্থ নিপসম অডিটরিয়াম হলরুমে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার সকালে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত দেশের ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৬-৫৯ মাস বয়সী কয়েকজন শিশুকে লাল ও নীল রঙের ক্যাপস্যুল খাইয়ে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ টিটো মিঞা-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ৪ থেকে ৫ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত। সেই হার এখন শুন্য দশমিক ১ ভাগে নেমে এসেছে।

ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল শিশুদের জন্য কেবল রাতকানা প্রতিরোধের জন্যই ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপস্যুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায় প্রায় ২৪ ভাগ। হাম, ফাইলেরিয়ার মত অসুখ হতে পারেনা। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চাই। সোনার বাংলা করতে সোনার শিশু তৈরি করতে হবে। সেই সোনার শিশু তৈরি করতে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এই ভিটামিন যেন নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশু খেতে পারে তারজন্য আজকের দিনে সব মায়েদের নিজ নিজ নির্দিষ্ট বয়সী শিশুকে সাথে নিকটস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়াতে অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য, ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী সারাদশের সকল সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে খাওয়ানো হবে। এর জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী একযোগে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে কাজ করবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপস্যুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।

সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..