শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ঝালকাঠিতে জিও ব্যাগ ফেলতে গিয়ে সুগন্ধ্যায় ডুবে শ্রমিকের মৃত্যু ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিন ঝালকাঠিতে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৩  বরিশালে ইয়ুথ ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড প্রদানসংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আমতলীতে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা অসহায় কৃষাণীর মাঠের ধান কেটে দিলেন তালতলী কৃষক দল বিয়ানীবাজারে কিষান-কিষানিদের ব্যস্ত সময় বরগুনার আমতলীতে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে মামলার তদন্ত করে চাঁদাবাজি গ্রেফতার ২ পল্টনে সাব্বির টাওয়ারের টপ ফ্লোরে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ : সূচকে ১৬ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

মাদক কারবারি রেজাউলের অত্যাচারে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হিন্দু মুসলিমরা

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৫৮৬৬ বার পঠিত

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের রাজ্জাক মৃদার ছেলে রেজাউল করিম (৩২)। পটুয়াখালী সদর থানায় অন্তত ৫-৬টি মামলার আসামি। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসহ তিন বার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খাটতেও হয়ে।

এবার জেল থেকে বের হয়ে শুরু করেছে স্থানীয় দরিদ্র ও হিন্দুদের নির্যাতন। নানান অজুহাতে লক্ষধিক টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে তাদের কাছে। টাকা দিতে না চাইলে প্রকাশ্যে চালানো হয় নির্যাতন।

বুধবার (৩ মে) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী আসমা ও ৭নং ইউপি সদস্য মনির সিকদার জানান, রেজাউলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই হয়েছেন এলাকা ছাড়া। হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

আসমা জানান, গত ২৩ এপ্রিল গভীর রাতে রেজাউল করিম ও তার সঙ্গে আসা ছালাম রাড়ি ও ছালাম রাড়ির ছেলে মিজানুর রাড়ি উত্তর ধরান্দী গ্রামের নয়ন খানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের উপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।

এঘটনায় হামলার শিকার হাবিবুর পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলেও জানান আসমা বেগম। পরে গত ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করে। সিআর মামলা নং ৬৩৭/২০২৩।

এদিকে হামলার সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও কৌশলে রেজাউল করিমকে ধরে ফেলে হাবিব ও তার স্ত্রী। পরে স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে রেজাউলকে গণপিটুনি দেয়। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় রেজাউল কে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশের থেকে ছাড়া পেয়ে যায় রেজাউল।

ছাড়া পেয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করেছেন স্থানীয় দরিদ্র মুসলিম ও হিন্দুরদের। দিনের পর দিন পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে যাযাবর জীবন যাপন করছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির সিকদার বলেন, রেজাউল একজন অপরাধী। তার বিরুদ্দে কেউ কথা বললে অত্যাচার নির্যাতন করে তাকে এলাকা ছাড়া করে। একজন অপরাধীর কাছে এলাকাবাসী জিম্মি। আমরা স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে একটি সুন্দর সমাধান চাই। এলাকায় শান্তি চাই।

এসময় উত্তর ধরান্দী এলাকার ওমরি রায়ের ছেলে সুনীল রায়(৫৫) ও জয়দেব রায় (৬০), মনু খানের ছেলে বশির খান (৪৫) এজাহার খানের ছেলে নাসির খান (৫৫) আজাহার হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার এবং আব্দুল খানের ছেলে করিম খান উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..