সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার হিংসা অবিচারের : আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা জন্মদিনে মৃত্যু, বিবাহবার্ষিকীতে দাফন; এএক হৃদয়বিদারক বিদায়ের গল্প ছোটদের বড় ভাবনা: রাজধানীর পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্রেক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা

মাদক কারবারি রেজাউলের অত্যাচারে পালিয়ে বেড়াচ্ছে হিন্দু মুসলিমরা

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৫৮৭৫ বার পঠিত

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের রাজ্জাক মৃদার ছেলে রেজাউল করিম (৩২)। পটুয়াখালী সদর থানায় অন্তত ৫-৬টি মামলার আসামি। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসহ তিন বার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খাটতেও হয়ে।

এবার জেল থেকে বের হয়ে শুরু করেছে স্থানীয় দরিদ্র ও হিন্দুদের নির্যাতন। নানান অজুহাতে লক্ষধিক টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে তাদের কাছে। টাকা দিতে না চাইলে প্রকাশ্যে চালানো হয় নির্যাতন।

বুধবার (৩ মে) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী আসমা ও ৭নং ইউপি সদস্য মনির সিকদার জানান, রেজাউলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই হয়েছেন এলাকা ছাড়া। হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

আসমা জানান, গত ২৩ এপ্রিল গভীর রাতে রেজাউল করিম ও তার সঙ্গে আসা ছালাম রাড়ি ও ছালাম রাড়ির ছেলে মিজানুর রাড়ি উত্তর ধরান্দী গ্রামের নয়ন খানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের উপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।

এঘটনায় হামলার শিকার হাবিবুর পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলেও জানান আসমা বেগম। পরে গত ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করে। সিআর মামলা নং ৬৩৭/২০২৩।

এদিকে হামলার সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও কৌশলে রেজাউল করিমকে ধরে ফেলে হাবিব ও তার স্ত্রী। পরে স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে রেজাউলকে গণপিটুনি দেয়। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় রেজাউল কে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশের থেকে ছাড়া পেয়ে যায় রেজাউল।

ছাড়া পেয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করেছেন স্থানীয় দরিদ্র মুসলিম ও হিন্দুরদের। দিনের পর দিন পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে যাযাবর জীবন যাপন করছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির সিকদার বলেন, রেজাউল একজন অপরাধী। তার বিরুদ্দে কেউ কথা বললে অত্যাচার নির্যাতন করে তাকে এলাকা ছাড়া করে। একজন অপরাধীর কাছে এলাকাবাসী জিম্মি। আমরা স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে একটি সুন্দর সমাধান চাই। এলাকায় শান্তি চাই।

এসময় উত্তর ধরান্দী এলাকার ওমরি রায়ের ছেলে সুনীল রায়(৫৫) ও জয়দেব রায় (৬০), মনু খানের ছেলে বশির খান (৪৫) এজাহার খানের ছেলে নাসির খান (৫৫) আজাহার হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার এবং আব্দুল খানের ছেলে করিম খান উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..