নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচনের একদিন পূর্বে বন্ধ করে দিতে হবে সকল প্রচার প্রচারনা। সে অনুযায়ী পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ই জুন রাত ৮টার পুর্বে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রচারণার ডামাডোল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে গত ২৯ শে মে নির্বাচনের দিন থাকলেও নির্বাচন কমিশন ঘূর্ণিঝড় রেমেলের কারণে দিন পরিবর্তন করে ৯ জুন (শনিবার) নির্ধারণ করে। নির্দেশনা অনুযায়ী কিছুদিন প্রচারনা বন্ধ থাকলেও শেষ ২দিনের জন্য অনুমতি মেলে।
সদর উপজেলার “কাপ প্রিস” প্রতীকের আলহাজ্ব আবুল কালাম মৃধা আয়োজন করে সমাপনী সভার। ৭জুন বিকাল ৫টায় চৌরাস্তা সংলগ্ন হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার কলেজ প্রাঙ্গনে প্রায় দশ হাজার কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে সমাবেশ পরিপূর্ণ হয়। সদর উপজেলার অন্তর্গত পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আগত “কাপ পিরিচ” মার্কা সমর্থিত নারী পুরুষ সঠিক সময় সমাবেশে উপস্থিত হয়ে জন সভাটি সার্থক করে।
মাঠ ভর্তি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সামনে আলহাজ্ব আবুল কালাম মৃধা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে যেয়ে বড় একটা সময় আমি জেলে কাটিয়েছি। বিভিন্ন সময় সালিশ মীমাংসায় অর্থের লোভে কখনো পক্ষপাতিত্ব করি নাই। জীবনে কখোনো মাদকের প্রশ্রয় দেই নাই। সব সময় সত্যের পথে চলেছি। নিজের অর্থে সামাজিক কর্ম করতে করতে আজ আমি বৃদ্ধ। বয়সের শেষ প্রান্তে এসে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চেয়েছি। হয়তো এরপরে আমার নির্বাচন করার সুযোগ নাও থাকতে পারে। আমি আপনাদের কাছে একবারের জন্য চেয়ারম্যান হতে ভোট চাই। আমাকে”কাপ পিরিচ” মার্কায় ভোট দিবেন।
মাঠ ভর্তি কালাম মৃধার “কাপ পিরিচ” এর সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যডঃ হারুন আল রশিদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যডঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দৈয়দ সোহেল, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যডঃ সাহানুর হক, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি গাজী আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সর্দার সোহরাব হোসেন, সহ- সভাপতি মোঃ জলিল সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা কর্মী।