মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ১৬টি ইউনিট মোরেলগঞ্জে ওসি মতলুবর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখার জোয়ার: প্রভাষক আলমগীর হোসাইন তালুকদারকে ঘিরে ভোটারদের নতুন প্রত্যাশা বলিউড কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া প্যারিসের অন্যতম মানবিক ডাক্তার হসপিটাল অ্যামব্রোইজ প্যারে এর অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ চার্লস পিওগার নলছিটিতে কর ফাঁকি রোধে ও শক্তিশালী তামাক নীতি চূড়ান্ত করার দাবিতে মানববন্ধন তাড়াইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারীকে মারধর, স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ চৈতার পীর মাওলানা নুর মোহাম্মদ খান মারা গেছেন ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন: সহিংসতা মূক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে নান্দনিক হলদে আভা ছড়ানো রূপবান সূর্যমুখী

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৮২০ বার পঠিত
মুরাদনগর উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মাঝে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। কারন এই উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। তাই কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে আরো উদ্বুব্ধ করতে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে মনে করছেন কৃষি অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার বাবুটিপাড়া, জাহাপুর, আন্দিকুট, কামাল্লা, মুরাদনগর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ২০ জন কৃষককে ১ কেজি করে বীজ আর ২০ কেজি করে সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। গত বছর বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে ৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ফুল থেকে বীজ ঘরে তোলা সম্ভব।

মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের নাগের কান্দি গ্রামের কৃষক বাবুল বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। জমিতে এসে অনেক মানুষ ছবি তুলে বিনোদন নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! অনেকে আবার এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন।

সূর্যমুখী হাসে, আর প্রকৃতি অপরূপ রূপে সাজে। তাই সূর্যমুখী শুধু ফুলই নয়, এটি একদিকে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের সৌন্দর্যের তৃষ্ণা মেটায়, তাই দিনভর সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছে ফুলপ্রেমীরা। সূর্যমুখী দেখতে আসা দর্শনার্থী রাসেল বাবু বলেন, কর্মব্যস্ততার জীবন থেকে একটু মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে ও বাগান ভরা ফুল দেখতে এখানে আসা। তবে প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর লাগছে। তাই সবাই মিলে এ মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুফি আহমেদ বলেন, সূর্যমুখী ফুল চাষে রোগ বালাই কম। ফলন ভালো হওয়ায় স্বল্প খরচে অধিক লাভ। এছাড়াও এই ফুল থেকে উৎকৃষ্ট মানের তেল বীজ পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সেই সাথে এই তেল বিভিন্ন অসুখের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে বলে জানান তিনি।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, সূর্যমুখীর গুণাগুণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। সূর্যমুখী চাষের বিস্তার ও জনপ্রিয়তার উদ্দেশ্যে স্থানীয় কৃষি বিভাগ নানাভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরিষা-সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এখানে সূর্যমূখীর বাজার তৈরী করতে পারলে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী চাষে আরো আগ্রহী করা যাবে। বিশেষ করে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ করা হলে সহজে বাজারজাত করা সম্ভব। কোন কৃষক যদি সূর্যমুখী চাষ করতে আগ্রহী হয় তাহলে অফিসে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর যোগাযোগ করলে আমরা তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগীতা করবো।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..