শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্য সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ মুরাদনগরে রাতের আঁধারে আগুনে পুড়ে ছাই দোকান, নিঃস্ব ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ক্ষতি পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় দশম শ্রেণীর ছাত্র গুরুতর আহত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা পটুয়াখালীতে পরীক্ষার ফী দিতে না পারায় শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের গালমন্দের প্রচারনা মিথ্যা ও বানোয়াট নান্দাইলে সিংরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটি ও নতুন শিক্ষকদের বরণ ঢাকাস্থ মির্জাগঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের পক্ষ থেকে এসিআই লিঃ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’কে সম্মাননা স্মারক প্রদান

খুলনা শিপইয়ার্ডে মোরেলগঞ্জের সেই নাঈম মোল্লা হত্যায় জড়িত র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার

খুলনা প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ৫৮৩৩ বার পঠিত

খুলনার চাঞ্চল্যকর যুবক নাঈম মোল্লা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রানু বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে। (২৫ মে) রাত ৯ টার দিকে তাকে খুলনা মহানগরীর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রানু বাবু খুলনা র‌্যাব-৬ এর সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩ জন।

র‌্যাবের ওই সৈনিক খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আল আমিনের কাছে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর পর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, র‌্যাবের সৈনিক রানু বাবুর সাথে টিকটকার নুসরাত আমিন সুমনার সাথে ৭ মাসের পরিচয়। এ সময়ের মধ্যে তাদের বন্ধুত্ব অনেক গভীরে চলে যায়। রানু বাবু প্রায় তাদের বাড়িতে আসতেন। গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটিয়ে ফিরে যেতেন। র‌্যাব সদস্য হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সেদিন সাহস পায়নি। সেদিন দুপুরে টিকটকার সুমনার বাড়িতে অবস্থান করে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ফোন করে নাঈমকে ডেকে নেওয়া হয়। আর পরের দিন হাত পা বাঁধা অবস্থায় নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও র‌্যাব সদস্য রানু বাবুর ভয়ে কেউ পুলিশকে তার পরিচয় জানাতে পারেনি। নাঈম মোল্লা হত্যাকান্ডে সে জড়িত আছে বলে ওই এলাকার ওই সূত্রটি জানায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানার এসআই মো. আব্দুর রহিম বলেন, নাঈম হত্যাকান্ডের পর র‌্যাবের সৈনিক রানু বাবু নওগা চলে যায়। পরে তিনি ২৫ মে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ জানতে পেরে তাকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এ মামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। সৈনিক রানু বাবু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে পরের দিন হাজির করা হয় এবং সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৩ মে ) ভোর ৫ টার দিকে নগরীর শিপইয়ার্ড মেইন রোড সংলগ্ন মোশারফের বাড়ির ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে লবণচরা থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে লাশের পরিচয় পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নাঈমের পরিচিত টিকটকার সুমনা ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। রাতে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মুখ খুলতে থাকে সুমনা। পরে এ ঘটনায় বাদি হয়ে লবণচরা থানার এসআই বেল্লাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..