শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলী থানা থেকে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ লুট! এমন আলোচিত ঘটনা জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসুস্থ সাবেক মেয়রের পাশে মানবিক নেতা: হাসপাতালে সাক্ষাৎ করলেন আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান তাড়াইলে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে ‘বিসিক উদ্যোক্তা মেলা-২০২৫’ নলছিটিতে ইয়ুথ আউটরিচ কমিউনিকেইটার টিম গঠনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ বন্ধ করল প্রশাসন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৭৪ বার পঠিত

বরগুনার আমতলী উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোটি টাকার জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খানের নির্দেশে হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশবাড়িয়া নদীর পাড়ে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকায় ৫৪/বি পোল্ডারে প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধের ওপর ভরসা করে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ, গবাদিপশু ও ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে, ওই এলাকার কবির মল্লিক ও লিবিয়া প্রবাসী লিটন হাওলাদার প্রায় ৫৬ শতাংশ জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, কবির মল্লিক ও জুয়েল মল্লিকের উপস্থিতিতে ১০-১৫ জন শ্রমিক দিয়ে ভবনের ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। এ ছাড়া একই বাজার এলাকায় শতাধিক ব্যক্তি অনুমতি ছাড়া পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের দুই পাশে ইমারত নির্মাণ করায় বাঁধ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে বাঁধ ধসে ভয়াবহ প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান।

দখলদার কবির মল্লিক দাবি করেন, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই ভবন নির্মাণ করছেন। তবে অনুমতির কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে লিবিয়া প্রবাসী লিটন হাওলাদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হলদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মোঃ সাদিক মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন জানান, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, বাঁধের জমি দখল করে ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতি করে কেউ অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে না।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..