বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে যৌতুকের দাবির অভিযোগে এক গৃহবধূ ও তার ৭০ বছর বয়সী নানাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামিয়া আক্তার (২২) স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে।
অভিযোগপত্রে জামিয়া উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রবাসফেরত সাব্বির হাওলাদার (২৮)-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে এবং তার নানাকে মারধর করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, যৌতুক না দিলে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকিও দেওয়া হয়।
আহত জামিয়া ও তার নানাকে স্থানীয়রা প্রথমে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জামিয়ার স্বামী সাব্বির হাওলাদার সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মতলুবর রহমান বলেন, “অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সাব্বিরের বাবা ইয়াসিন হাওলাদার দাবি করেন, বাদীপক্ষ তাদের ছেলেকে নির্যাতন করে উল্টো তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, জামিয়া সংসারমুখী নন এবং পরিবারের পরামর্শও শোনেন না।