অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বাসিন্দা মিরাজ আলিকে একটি গরু প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুল ইসলাম আকন্দ।
দীর্ঘদিন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত মিরাজ আলি জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিয়েছিলেন। তবে সরকারি এ উদ্যোগ তার জীবনে নতুন আলো দেখিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রান্তিক ও অসহায় মানুষদের স্বাবলম্বী করতেই এ পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু রাখা হয়েছে। মিরাজ আলির হাতে একটি গরু তুলে দেওয়ার মাধ্যমে তার পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার সুযোগ তৈরি হলো।
গরু পাওয়ার পর মিরাজ আলি জানান, তিনি আর কখনো ভিক্ষায় ফিরতে চান না। এখন গরু লালন-পালন করে নিজের ও পরিবারের জন্য স্থায়ী আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, “শুধু মিরাজ আলি নন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে ধীরে ধীরে আরও অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো—কেউ যেন ভিক্ষা না করে, বরং নিজস্ব কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে।”
স্থানীয় সচেতন মহল এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন, তবে অচিরেই নান্দাইল থেকে ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল সম্ভব হবে।
অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এই প্রচেষ্টা শুধু ব্যক্তিগত পরিবর্তন নয়, বরং গোটা সমাজের ইতিবাচক রূপান্তরের প্রতিচ্ছবি।