বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আবু সাঈদের পোস্টমর্টেম বদলানোর অভিযোগে আলোচিত এসপি সিদ্দিক পদোন্নতি পেয়ে এখন এডিআইজি মুরাদনগরে বাড়ির পাশে যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারে শোকের ছায়া মুরাদনগরে দৃষ্টিকটু পোস্টার লাগানোর অপরাধে ‘ভারত হারবাল’কে জরিমানা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সাপের কামড়ে আক্রান্ত ১ নারী নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেতাগীতে প্রোজেক্ট অপরাজিতা নান্দাইলে অসহায় মিরাজ আলির পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন অবশেষে গাইটালের পানি নিস্কাষনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেন ইউএনও কামরুল হাসান মারুফ প্যালেস্টাইন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ওরিয়েন্টেশন ও মতবিনিময় সভা নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম ক্লাসের উদ্বোধন নান্দাইল চৌরাস্তার গোলচত্বরে সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শুরু

নান্দাইলে অসহায় মিরাজ আলির পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫৪ বার পঠিত
নান্দাইলে অসহায় মিরাজ আলির পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন ---- সংগৃহীত ছবি

অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বাসিন্দা মিরাজ আলিকে একটি গরু প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিজানুল ইসলাম আকন্দ।

দীর্ঘদিন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত মিরাজ আলি জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিয়েছিলেন। তবে সরকারি এ উদ্যোগ তার জীবনে নতুন আলো দেখিয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রান্তিক ও অসহায় মানুষদের স্বাবলম্বী করতেই এ পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু রাখা হয়েছে। মিরাজ আলির হাতে একটি গরু তুলে দেওয়ার মাধ্যমে তার পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার সুযোগ তৈরি হলো।

গরু পাওয়ার পর মিরাজ আলি জানান, তিনি আর কখনো ভিক্ষায় ফিরতে চান না। এখন গরু লালন-পালন করে নিজের ও পরিবারের জন্য স্থায়ী আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, “শুধু মিরাজ আলি নন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে ধীরে ধীরে আরও অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো—কেউ যেন ভিক্ষা না করে, বরং নিজস্ব কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে।”

স্থানীয় সচেতন মহল এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন, তবে অচিরেই নান্দাইল থেকে ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল সম্ভব হবে।

অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এই প্রচেষ্টা শুধু ব্যক্তিগত পরিবর্তন নয়, বরং গোটা সমাজের ইতিবাচক রূপান্তরের প্রতিচ্ছবি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..