বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বেতাগীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা: তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ইয়াসের খান চৌধুরী মির্জাগঞ্জে সমবায় দিবস পালিত প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি! প্রবাসে দলের গতি বাড়াতে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: দুবাই থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে স্বাগত জানালেন ইউএই কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

তালতলীতে পুলিশের এসআইর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫৫ বার পঠিত
বরগুনার তালতলী থানা.......................ছবি সংগৃহীত

বরগুনার তালতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) অসীম চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের নামে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগ করেছেন উপজেলার তাতীপাড়া গ্রামের মো. চুন্নু মৃধা। তিনি রবিবার বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, সুবিচার পেতে তিনি বরগুনা জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

চুন্নু মৃধা বলেন, “এসআই অসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ায় এখন আমি বিপাকে পড়েছি। তিনি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন।”

জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ পূর্বশত্রুতার জেরে তালতলীর তাতীপাড়ায় রিপন মৃধাকে মারধর করে স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুম বিল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এতে রিপন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় তিন মাস চিকিৎসা নেন, ব্যয় হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় আহত রিপনের বাবা আনোয়ার মৃধা বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তালতলী থানা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে এবং তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই সুশান্তকে।

কিন্তু ঘটনার ২২ দিন পর আসামি মাসুম বিল্লাহ পাল্টা মামলা করেন আহত রিপনের আত্মীয় হৃদয় হাওলাদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই অসিম চন্দ্র দাস।

চুন্নু মৃধার অভিযোগ, তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে এসআই অসিম আমাদের নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। তিনি সঠিক চার্জশিট দিতে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে মিথ্যা চার্জশিট দেবেন বলে হুমকি দেন। আমি বাধ্য হয়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিই। কিন্তু তবুও তিনি ৩১ জুলাই মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে চার্জশিট দেন।

তিনি আরও জানান, এসআই অসিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর এখন তিনি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই অসিম চন্দ্র দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন সিকদার বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..