ঢাকার জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি প্লাস্টিক ড্রাম থেকে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় নতুন তথ্য মিলেছে। পরিবারের সন্দেহের মূল ফোকাস—তার বাল্যবন্ধু জরেজ, যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশরাফুলের ছোট বোন রাহেনা এবং জরেজের মধ্যে ৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ফোনালাপ নজর কেড়েছে। আলাপ অনুযায়ী, জরেজ ঢাকায় আশরাফুলকে বাসায় রেখে বের হন। পরে এক অপরিচিত লোক এসে তাকে আশরাফুলের মোবাইল সংগ্রহ করতে বলেন, কিন্তু তাকে দেখানো হয়নি। রাহেনা ফোনে উদ্বিগ্ন হয়ে বলেন—“আশরাফুল যদি বিপদে থাকেন, আপনি কীভাবে জানবেন?” জরেজ জানান, তিনি পরিস্থিতি বুঝতে পারছিলেন না।
নিহত আশরাফুল রংপুরের বদরগঞ্জের বাসিন্দা, পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। দীর্ঘদিনের বন্ধু জরেজ কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন, সম্প্রতি দেশে ফিরে আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। জাপানে যাওয়ার জন্য জরেজ আশরাফুলের কাছে টাকা চাইছিলেন, যা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। ১১ নভেম্বর রাতে বাবা অসুস্থ হওয়ায় আশরাফুল জরেজকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন—এরপর থেকে নিখোঁজ।
আশরাফুলের মা অভিযোগ করেন—“জরেজই আমার ছেলেকে নিয়ে গেছে, টাকা খাটিয়ে।” বাবা বলেন—জাপান যাওয়ার জন্য জরেজ টাকা চাইছিল।
বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান জানান—পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তথ্য রমনা জোনে পাঠানো হয়েছে। মামলা করার অধিকার রয়েছে আশরাফুলের বড় বোন বা শ্যালকের।