শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্যাপক আয়োজনে বাঙলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব তাড়াইলে ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ ট্রাক জব্দ মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি, প্রবাসীর বাড়ি থেকে লুট ৬ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণ বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত লাওস সরকার দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে: লাওস রাষ্ট্রদূত পবিত্র রমজান উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ ওএমএস’র মাধ্যমে চাল বিক্রি সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে মর্যাদা নিশ্চিত হবে না : কামাল আহমেদ ৩১ দফা কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : তারেক রহমান দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা: গভর্নর স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ৭ কলেজ প্রতিনিধিদের বৈঠক

ভাষা আন্দোলনে সূচিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্র গঠনের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৬০০৫ বার পঠিত
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ’ নামক জাতি রাষ্ট্র গঠনের লড়াই, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, স্বাধীনভাবে ভাষাচর্চার অনুকূল পরিবেশ। বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ও সৃজনে তিনি কতটা সচেতন ও উদ্যোগী ছিলেন, তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভাষণগুলো বিশ্লেষণ করলেই তা অনুধাবন করা যায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ এর ৩০ বছর পূর্তিতে তিনি বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

সরকার দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ, নৈতিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন আগামী প্রজন্ম এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। আমরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি, নারী শিক্ষা প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি। ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকসহ চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদারি এই ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন নতুন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা স্থাপন করছি। প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শত শত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করেছি এবং এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তাদের মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বে ভাষাকে অত্যন্ত কার্যকর সম্পদ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ভাষা গবেষণা ও চর্চার মধ্য দিয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছে। বাংলা ভাষাকে প্রযুক্তি ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলছে। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এক্ষেত্রে নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..