বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদন্ড

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮৬৮ বার পঠিত

সিরাজগঞ্জে শিশু ও দুই নারীকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো: নাজির দু’জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলো-সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল মুন্নাফের ছেলে আল-আমিন ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে গাজীপুর জেলার মাওনা চৌরাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন দন্ডপ্রাপ্ত আল-আমিন। এসময় শ্রীপুর থানার টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে নাসরিনের পরিবার ও স্বামী তাকে বুঝিয়ে আল-আমিনকে তালাক দেওয়ায়। এতে নাসরিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। পুনরায় নাসরিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আল-আমিন। ক্ষোভে নাসরিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই মোবাইল ফোনে নাসরিনকে দেখা করতে বলে আল-আমিন। নাসরিন তার ফুপু মেহেরুন নেছা ও পাঁচ বছর বয়সী ভাগ্নি জাইমাকে সঙ্গে নিয়ে আল-আমিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে তার দোকানে যায়। এসময় আল-আমিন ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম মিলে দোকানের পেছনে বিশ্রাম রুমে তাদের নিয়ে যায় । সেখানে বালিশ চাপা ও গলায় রশি পেঁচিয়ে তিনজনকে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহগুলো বস্তায় ভরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে  পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আল-আমিন ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন এবং একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

(BSS)

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..