রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
৪০ ঘন্টা থেকে বিদ্যুৎহীন বিয়ানীবাজারের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা বেতাগীর সাবেক তিন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক মূক্ত দিবস পালিত নান্দাইলে পুকুরে ডুবে ও বর্জ্রপাতে ২জনের মৃত্যু খুলনা শিপইয়ার্ডে মোরেলগঞ্জের সেই নাঈম মোল্লা হত্যায় জড়িত র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার বরের বাবা, পলাতক বর-কনে পদের লোভ দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে যুবদল নেতা প্রিন্স ইমরানকে শোকজ তাড়াইলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া ও খাদ্য বিতরণ বাংলাদেশ ও জাপান এ বছরের শেষ দিকে ইপিএ স্বাক্ষর করবে প্রবাসীদের রেমিটেন্সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদন্ড

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮৭৮ বার পঠিত

সিরাজগঞ্জে শিশু ও দুই নারীকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো: নাজির দু’জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলো-সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল মুন্নাফের ছেলে আল-আমিন ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে গাজীপুর জেলার মাওনা চৌরাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন দন্ডপ্রাপ্ত আল-আমিন। এসময় শ্রীপুর থানার টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে নাসরিনের পরিবার ও স্বামী তাকে বুঝিয়ে আল-আমিনকে তালাক দেওয়ায়। এতে নাসরিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। পুনরায় নাসরিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আল-আমিন। ক্ষোভে নাসরিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই মোবাইল ফোনে নাসরিনকে দেখা করতে বলে আল-আমিন। নাসরিন তার ফুপু মেহেরুন নেছা ও পাঁচ বছর বয়সী ভাগ্নি জাইমাকে সঙ্গে নিয়ে আল-আমিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে তার দোকানে যায়। এসময় আল-আমিন ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম মিলে দোকানের পেছনে বিশ্রাম রুমে তাদের নিয়ে যায় । সেখানে বালিশ চাপা ও গলায় রশি পেঁচিয়ে তিনজনকে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহগুলো বস্তায় ভরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে  পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আল-আমিন ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন এবং একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

(BSS)

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..