বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাটে কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরির ব্যারিয়ার ভেঙে অর্ধেক নদীতে পড়ে গেছে। বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও সহকর্মীসহ ৫ জন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ফেরিতে ওঠার সময় ভারসাম্য হারিয়ে ট্রাকটি ফেরির ব্যারিয়ার ভেঙে অর্ধেক অংশ নদীতে পড়ে যায়। ট্রাকটির সামনের অংশ পানিতে ডুবে গেলেও পেছনের অংশ ফেরির সঙ্গে আটকে থাকায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রাত থেকেই ফেরিঘাট এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানবাহনগুলো আটকে থাকায় যাত্রী ও চালকদের দীর্ঘক্ষণ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি উদ্ধারে ক্রেন ও বিশেষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাটের খালাসি মো. মজিবর রহমান বলেন, “ট্রাকটির অতিরিক্ত ওজন ও চালকের অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সমস্যার সমাধানে কাজ চলছে।”
দুর্ঘটনার বিষয়ে ট্রাকচালক মো. রুবেল জানান, “রাত ১২টার দিকে পল্লীমঙ্গল বাজার থেকে ১৫ টন কাঠ বোঝাই করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। ফেরিতে ওঠার পরপরই ভারসাম্য হারিয়ে ট্রাকটি ব্যারিয়ার ভেঙে অর্ধেক নদীতে পড়ে যায়। গাড়িতে আমরা ৫ জন ছিলাম। আল্লাহর রহমতে সবাই বেঁচে গেছি।”
সকালে উদ্ধার কাজের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফেরির ব্যবস্থা করে। তবে যানজট পুরোপুরি নিরসনে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ফেরিঘাটে এমন দুর্ঘটনা নতুন নয়। তারা অভিযোগ করেন, পানগুছি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বহুদিনের হলেও এখনও কার্যক্রম শুরু হয়নি। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “পানগুছি সেতু নির্মাণ হলে হয়তো এই ধরনের দুর্ঘটনা ও যানজটের ভোগান্তি কমে আসবে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করছি না।”
ফেরিঘাটের এই দুর্ঘটনা ফেরি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। দ্রুত সমাধানের দাবিতে স্থানীয়রা কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছেন।