শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিক নেতা সুশান্ত সাহার বাবা বাবু স্বপন সাহার পরলোক গমন: সাংবাদিক কমিউনিটির শোক প্রকাশ বেতাগীতে গ্রীন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইউনুছ সিকদারের ইন্তেকাল ভোটের মাধ্যমে মসজিদের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কলাপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলার তিন আসামি গ্রেফতার ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ দেশে প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট সেবায় ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: আপিল বিভাগেও তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস বেতাগীতে দুর্বৃত্তদের আঘাতে ব্যবসায়ী গুরুতর আহত

শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হবে: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৭৮৬ বার পঠিত

শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে আরো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

আজ জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন এবং এটি সরকারের পক্ষ থেকেও বার বার বলা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করি খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আরো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কাজের কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে একটা ঐকমত্য তৈরি করা।’

এ সময় তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো ছকের আকারে বিন্যস্ত করে গত ৬ মার্চ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে মোট সুপারিশের সংখ্যা ১৬৬টি। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সুপারিশ ২০টি।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে ৩৪টি রাজনৈতিক দলকে মতামত দিতে বলা হয়েছে। তাদের মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করবো। এজন্য এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করিনি, যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে সেই সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে।

রাজনৈতিক দলগুলো যে সব বিষয়ে একমত হবে সে সব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচনা করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেবল মাত্র রাজনৈতিক দল নয়, দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সমস্ত সংস্কারের বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। এ জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশমালার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিকদের মতামত জানতে চাওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছয় মাস মেয়াদি এ কমিশন আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এই মর্মে পদক্ষেপসমূহ সুপারিশ করবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..