অন্যায় ভাবে ধ্বংস করে দেওয়া ফিলিস্তিন আর দখলদার ইসরায়েলের প্রশ্নে যেন যাহা বাইডেন তাহাই ট্রাম্প, একই মুদ্রার দুইটি দিক মাত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার এক কাঠি সরেস।ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে মিসরে বিতারিত করার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতেই, গোপনে আফ্রিকার সাথে যোগাযোগ করছে ইসরায়েল ও ট্রাম প্রশাসন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এপি।
দুই দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বরাতে এপির প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে ইতোমধ্যে আফ্রিকা মহাদেশের ৩ টি দেশের সাথে যোগাযোগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল।যাদের মধ্যে রয়েছে সোমালিয়া, সুদান,সোমালিল্যান্ড।যেখানে এই দেশ গুলো নিজেরই গৃহযুদ্ধ, অর্থনৈতিক দূর্দশায় জর্জরিত। এমন দেশে অসহায়,বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বিতারিত করার খবরে নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে সোমালিয়া ও সুদানের জনগণ। তাঁরা সমগ্র মুসলিম জাতিকে আহ্বান করছে ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমি রক্ষায় পাশে দাঁড়াতে। সুদানের প্রশাসন জানিয়েছে তারা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন ও তেলাবিবের এর এই প্রস্তাব।
এর আগে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পরপরই ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিশরে প্রত্যাবর্তন করে গাজায় অবকাশ যাপন কেন্দ্র বানানোর প্রস্তাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কিন্তু আরববিশ্ব তা প্রত্যাখ্যান করে। ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষায় বিকল্প প্রস্তাব করেন মিশর যা গ্রহণ করে আরববিশ্ব, সেই সাথে সমর্থন পায় আমেরিকার পরম মিত্র ইউরোপের কাছ থেকেও। এরপর মুখে মুখে অবকাশ যাপন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানালেও, ভেতরে ভেতরে নতুন ছক কষছে এই দুই দেশ। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন তাই প্রমাণ করে।
এদিকে দখলদার ইসরায়েল গাজায় হামলার পর থেকেই হামলার সাফাই গাওয়ার সাথে সাথে, অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য চালিয়ে গিয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।ট্রাম ক্ষমতায় আসার পরও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। উপরন্ত গাজাবাসীদের ভিটেমাটি ছাড়া করার পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে ফিলিস্তিনের মুক্তির আন্দোলন। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৩ জন ফিলিস্তিনি ছাত্রকে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে আমেরিকান ও ইহুদিরা।তাদের ওপর চলছে পূর্বের ন্যায় নিপীড়ন ও ধরপাকর। মানবাধিকার, গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় যেন এক অন্ধ ও বধির নিথর দেহ।