বিয়ানীবাজারসহ আশপাশের এলাকায় চলছে মৃদু দাবদাহ। টানা কয়েকদিন ধরে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার পারদ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘর বের হচ্ছেননা কেউ।
বিয়ানীবাজারে রবিবার দুপুরে তাপমাত্র ছিল ৩৪ ডিগ্রী। গতকালও এখানে সমপরিমাণ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। দাবদাহ থেকে বাঁচতে তাই বৃষ্টির আকুতি সাধারণ মানুষের।
এই অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে তাপমাত্রা। যার কারণে ভ্যাপসা গরমে কষ্ট করছেন বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দারা। দিনের বেলা রোদে ঘর থেকে বেরোলেই যেন শরীরে লাগছে আগুনের ফুলকি। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। বৈরী আবহাওয়ায় কায়িক পরিশ্রমে খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে। গরমের কারণে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ অধিকাংশ হাট-বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা। চলমান পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।
তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গরম থেকে আপাতত নিস্তার নেই। বর্ষাবাহী মৌসুমি বায়ু উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় বাতাসে ব্যাপক পরিমাণ জলীয়বাষ্প ভেসে আসছে। জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে গরমের অনুভূতিও বেশি হয়। ফলে এখন ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের আগামী এক মাসের দেওয়া পূর্বাভাসে বলেছে, এই জুন মাসে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মনিরুল হক খান বলেন, তাপমাত্র বেশি থাকায় রোগবালাই বাড়ার সম্ভাবনা আছে। অনেকেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। তিনি সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন।
তাপপ্রবাহের আভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।