বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বেতাগীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা: তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ইয়াসের খান চৌধুরী মির্জাগঞ্জে সমবায় দিবস পালিত প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি! প্রবাসে দলের গতি বাড়াতে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: দুবাই থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে স্বাগত জানালেন ইউএই কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেকোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৮৩০ বার পঠিত
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ....................................ছবি: সংগৃহীত

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার পাশাপাশি আদালতের আদেশে তার এবং সংশ্লিষ্টদের ১৩টি ব্যাংক হিসাবের ১৭ কোটি টাকা ও যমুনা ফিউচার পার্কের ১ লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৮৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকার বড় একটি অংশ পাচার করেছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং তদন্তে দেখা গেছে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে তা বিক্রি করে আসছিল। ২০২২ সালের ৮ মার্চ রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান দিপু মিলে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭.৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। এরপর একই জমির ৬.৩৩৭৫ একর ২০২২ সালের ১ জুন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেডের কাছে পুনরায় বিক্রি করেন, যার মাধ্যমে তারা ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আয় করেন।

জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ: সিআইডির তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া কার্যাদেশ ও মিথ্যা কাগজপত্র দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেন রফিকুল ও তার সহযোগীরা। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকে জাল মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দিয়ে আরও ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেন তারা। এসব টাকার বড় একটি অংশ পাচার করা হয় বলে নিশ্চিত হয় সিআইডি।

বিদেশে বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব: সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম আরও জানান, ব্যাংক থেকে নেওয়া এসব ঋণের অর্থ পরিশোধ না করে পাচার করে রফিকুল ইসলাম ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের দেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডায় ২ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

মামলা ও সম্পত্তি ক্রোক: এই ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আই অনুযায়ী রফিকুল ইসলাম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা রুজু করেছে সিআইডি। এছাড়াও আদালতের আদেশে রফিকুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্টদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-২ এ থাকা ১ লাখ বর্গফুটের কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করেছে সিআইডি।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানান, রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..