সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর গণপূর্তের অবৈধ সম্পদশালীরা এখনো ধরা-ছোয়ার বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান দূর্ণীতির অভিযোগ থাকার পরেও অজ্ঞাত কারনে আনা হচ্ছে না আইনের আওতায়। ফলে ফুরফুরে মেজাজে আছেন প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পতিত সরকারের আমলে এই সংজ্ঞবদ্ধ চক্র লুটেপুটে খেয়েছেন ও এখনো খাচ্ছে গণপূর্তকে। একেকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। তাদের অবৈধ সম্পদের খবর খোদ দুদকের কাছেও নেই আবার অনেকেরটা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুদক কর্তৃপক্ষ। আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও নীরব দর্শকের মতো। দাপুটে এসব প্রকৌশলীরা রয়েছেন একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করছেন। যে কারণে দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিশ্চিন্তে দিনাতিপাত করছেন। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এসব অপকর্ম দেখার যেন কেউ নেই। অনিয়মই যেন এখন নিয়মে পরিনত করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু । তিনি সাবেক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মার্ডার মালার আসামী হলেও পট পরিবর্তনের পরে ভোল পাল্টিয়ে অন্য এক রাজনৈতিক দলের লোক সাজার চেষ্টায় মরিয়া তিনি ও তার পরিবার।
গণপূর্তের এমনই একজন দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা সাবেক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর বর্তমান লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু। যার দুর্নীতি বলে কিংবা লিখে শেষ করার মতো নয়। তার চাকরীর শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় সমান দূর্ণীতির অভিযোগ। দূর্ণীতি করে অবৈধভাবে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। তিনি যেখানেই চাকরী করেছেন সেখানেই তার বিরুদ্ধে উঠেছে দূর্ণীতির অভিযোগ। অভিযোগ আছে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন সাইফুজ্জামান চুন্নু। এ ছাড়াও তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একাধিক হত্যা মামলার আসামী তারপরও রয়েছে ধরা-ছোয়ার বাইরে।
গণপূর্ত বিভাগ-৪ এ ও মিরপুর ডিভিশনে থাকা অবস্থায় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুর যত দূর্ণীতিঃ-
দুর্নীতি, নিয়োগ, বদলি, টেন্ডার বানিজ্য ও নিয়ন্ত্রণ, কমিশনের বিনিময়ে কাজ ভাগিয়ে নেয়া এবং প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করার মতোও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি রাজধানী ঢাকাসহ নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য।
জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের মিরপুর ডিভিশনের পূর্ত সার্কেলে মিরপুর পাইকপাড়াস্থ পিডব্লিউডি ট্রেনিং সেন্টার (পুরাতন) এর ২য় তলার সিড়ির পূর্ব পাশের পূর্ব প্রান্তের ৭ ও ৮ নম্বরের দুটি কক্ষকে আইবি বাংলোতে রূপান্তরের লক্ষ্যে সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু গত বছরের ২৩ আগস্ট কোনরূপ কাজ না করেই উক্ত কাজের জন্য ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের একটি অভিযোগ পায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, সেই সময় মিরপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন মো. সাইফুজ্জামান চুন্নু।
সেই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসানকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব পেয়ে যুগ্মসচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করেন যার স্মারক নম্বর- ২৫.০০.০০০০.০৫৩.০০১.০০২.১৯.২৭১। অভিযোগটি গত ২৩ আগস্ট করা হয়।
তদন্তের এক পর্যায়ে মুহাম্মদ সোহেল হাসান উক্ত আইভি বাংলো পরিদর্শনকালে দেখতে পান, উক্ত কক্ষগুলোতে কোনরূপ কাজ না করেই ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত অর্থ উত্তোলন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে। তবে ৭ নম্বর কক্ষে দুই শ্রমিককে তড়িঘড়ি করে ডেকোরেশনের কাজ শুরু করতে দেখা যায়। তখন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোনো কাজ না করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্যদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা অমান্য করে রাতের আঁধারে গোপনে উক্ত সংস্কার কাজ চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারলে
পরবর্তীতে ওই দুটি কক্ষে যেনো আর কোনো সংস্কার কাজ না করতে পারে সেজন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সংস্থাপন) আহমেদ আব্দুল্লাহ নূর এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) পবিত্র কুমার দাশ এর মাধ্যমে উক্ত কক্ষ দুটিকে সিলগালা করার নির্দেশ দেয়া হয়। যা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন অধিশাখা-০৯) মো. মাহমুদুর রহমান হাবিবকে অবহিত করা হয়।
এদিকে কক্ষ দুটি সিলগালা করার একদিন পরই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসান স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে ওই কক্ষ দুটির সিলগালা খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নু তার প্রভাব খাটিয়ে এক দিনের মধ্যেই সিলগালা খুলে ফেলেছেন এবং তড়িঘড়ি করে শুরু হওয়া ডেকোরেশনের কাজ আবার করেছেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের মিরপুর ডিভিশনের পূর্ত সার্কেলে থাকাকালীন বদলি হওয়ার আগমুহূর্তে প্রকল্পের এই অর্থ উত্তোলন করেন প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু।
২০২২ সালে মিরপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় সাইফুজ্জামান চুন্নু ১৭৬টি কাজের চাহিদার বিপরীতে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলেন। তখন মিরপুরের আবাসিক এলাকার অধিকাংশ ভবন নতুন থাকায় সেই ১২ কোটি টাকা খরচ করার তেমন সুযোগ না থাকায় এর বেশিরভাগ টাকাই আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে ঢাকার বাইরে থাকা অবস্থায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১৯ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বানের মতো অনিয়ম করেছেন তিনি। জানা গেছে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের কোন সুরাহা হয়নি যা ধামা-চাপা দেয়া হয় তৎকালীন কিছু অসাধু ডিজিএফআই অফিসারের মাধ্যমে । এই সাইফুজ্জামান চুন্নু স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তার দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডিজিএফআই’র ভয় দেখাতেন।
ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগে বদলী হয়ে মডেল মসজিদ মেরামতের টেন্ডার বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুরঃ-
মাফিয়া খ্যাত প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু গত ৫ই আগস্টের পরে বদলি হয়ে ফরিদপুরে যোগদান করার পরই টেন্ডারে অনিয়ম ও কমিশন বাণিজ্যের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। অভিযোগ রয়েছে, ফরিদপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস ও বাসভবনে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান প্রকৌশলীর প্রজ্ঞাপন অমান্য করে এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার আহবান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেন এবং মোটা অঙ্কের কমিশন বাণিজ্যে লিপ্ত হন। ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ও উদ্বোধন হওয়া ফরিদপুর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জানালা, স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক কাজের জন্য নতুন করে দরপত্র আহবান করেন। যার দরপত্র আইডি নম্বর ১০৬২১৬০। এর বাইরে আইডি নং ১০৫০৮১২ ও ১০৫৫৪০৫ সহ অসংখ্য টেন্ডার একই কৌশলে আহবান করে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দূর্ণীতিবাজ গণপূর্তের মাফিয়াখ্যাত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুর যত সম্পদঃ-
রাজধানীর ধানন্ডির সেন্ট্রাল রোডে ফ্ল্যাট, বেইলী রোডে ফ্ল্যাট, গুলশান নিকেতনে ফ্ল্যাট , বারিধারায় ফ্ল্যাট আছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া তার নিজ জেলা পটুয়াখালীতে বিআরডিবি অফিসের সামনে রাজকীয় প্রাসাদ, নাহিয়ান ব্রিকস ফিল্ড নামে ২টি ব্রিকস ফিল্ড , কলেজ রোডে দুইতলা বাড়ি, কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধারান্দি গ্রামে প্রায় ৫ একর জমি। পাশাপাশি ‘নেক্সাস’ নামে একটি গার্মেন্টস শোরুম, সাভারে ১০ কাঠার একটি প্লট, বরিশাল শহরে বাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তার অবৈধ পথে আয় করা টাকা দিয়ে । তাছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তিনি দুবাইতে একটি বাড়ি কিনেছেন বলেও জানা যায়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভেতরে ও বাইরে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় প্রকৌশলী চুন্নু দুর্নীতিকে পেশায় রূপ দিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

পটুয়াখালীর সরকারি কলেজ রোডে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নুর কয়েক কোটি টাকার রাজকীয় বাড়ি।
প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুর বাবা কমলাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম মৃধার যত দুর্নীতিঃ-
পটুয়াখালীতে অনুসন্ধান করে জানা যায় ২০২৪ সালে ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বাবা মোঃ আব্দুস ছালাম মৃধা চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।উক্ত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোটারদের ট্রাপে ফেলে টাকা দিয়ে ভোট ক্রয় করে সাবেক মেম্বার থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনে খরচ হওয়া কোটি কোটি টাকা তার দূর্ণীতিবাজ ছেলে প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নু খরচ করেছেন। তাছাড়া সাইফুজ্জামান চুন্নু সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তিনি সরাসরি নির্বাচন তদারকী করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অতিরিক্ত সম্পত্তি থাকার ঝামেলা এড়াতে আব্দুল সালাম চেয়ার ম্যান এর বোন ও তার ভাগিনা শামীমের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা সালাম চেয়ারম্যান ও তার ছেলে অর্থদাতা ও পরিচালক। বিভিন্ন সময় সরকারি অনুদান ও প্রকল্প এনে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন পাকা মসজিদ মাদ্রাসা রাস্তা যা দেখে মনে হবে রাজকীয় বাড়ি।
সালাম মৃধা এক সময় চরম অর্থনৈতিক সংকটে ছিলেন তবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ভাবে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান সালাম মৃধা ও তার ছেলে প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু। মূলত সাইফুজ্জামান চুন্নুই অবৈধ ইনকামের মাধ্যমে এসব করছেন। এ নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানা গুঞ্জন।
আব্দুস সালাম মৃধা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ সরকার শাসন আমলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। ওই সময় পটুয়াখালীর প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ মৃধার প্রভাব খাটিয়ে ও বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
পটুয়াখালী সদর উপজেলায় মাত্র দুইটি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। নিজ ক্ষমতা বলে ১০ লক্ষ টাকা কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয় তবে নির্ধারিত জুন মাসের মধ্যে কোন কাজ না করেও চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করে। সেপ্টেম্বর মাসে সেই কাজ শুরু করে তবে কোনমতে কিছু রংয়ের কাজ ও কাঠের কাজ করে কাজ শেষ করার পায়তারা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি টানা সাত (০৭) বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বারো (১২) বছরের চাকরি জীবনে আমাকে মোট পনেরো (১৫) বার হয়রানিমূলক পোস্টিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। মিরপুর গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন রেস্ট হাউজ নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। উক্ত তদন্তে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমার সম্পদ বিবরণী যথাযথভাবে আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে। আমার নিজের কোনো ফ্ল্যাট বা জমি নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দরপত্র আহ্বান, মূল্যায়ন ও চুক্তি সম্পাদন করা নিয়মিত রুটিন দায়িত্বের অংশ। এগুলো সবসময় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (PPR) অনুযায়ী যথাযথ নিয়ম-কানুন মেনেই সম্পাদিত হয়। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রীমহল তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযোগ করে থাকে।