বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নান্দাইলে প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন ইউএনও ফাতেমা জান্নাত আমতলীতে পৌরসভার অনুমোদিত রাস্তায় রাতের আঁধারে বেআইনি দেয়াল নির্মাণ মির্জাগঞ্জে নানা আয়োজনে জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী পালিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে নারী, নারী নেত্রীর হুমকিতে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ তাড়াইলে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপন কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ‘হাতপাখা’ মোরেলগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী’র প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ১৬টি ইউনিট মোরেলগঞ্জে ওসি মতলুবর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫৩ বার পঠিত
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ......................................ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম বাঁধের প্রায় ৫০টির বেশি গাছ বিক্রি করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে কুকুয়া গ্রামের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের রিভার ও কাইন্টি সাইটে বোর্ডের প্রায় ২০০ ফুট জমি রয়েছে। ২০০০ সালে ওই জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেহগনি, চাম্বল ও শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে।

সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম ওই গাছগুলো ৮৫ হাজার টাকায় স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত তিনদিন ধরে বেল্লাল মিয়া বাঁধের গাছ কেটে নিচ্ছেন।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাটা গাছ স্তুপ আকারে রাখা হয়েছে এবং বেল্লাল মিয়া সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।

গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন, জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিনা, তা আমি জানি না।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার রেকর্ডীয় জমিতে রোপণকৃত গাছ আমি বিক্রি করেছি। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো গাছ নেই।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বোর্ডের জমির গাছ দুই ভাই বিক্রি করেছেন। আমরা বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, বাঁধের গাছ কেটে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..