বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের জি’আন শহরে লকডাউন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১৭৪ বার পঠিত

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের মধ্যাঞ্চলীয় সানজি প্রদেশের রাজধানী জি’আন শহরে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর থেকে সেখানে ১৪৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে কতদিন লকডাউন চলবে, তা জানানো হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করোনার ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে, ওমিক্রনের কথা বলা হয়নি। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের চলতি সপ্তাহের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্বৈত মহামারি’র সম্মুখীন হয়েছে জি’আন। বেশকিছু লোক হেমোর‍্যাজিক ফিভারে আক্রান্ত হয়েছেন। উচ্চ মৃত্যুহার সংবলিত ভাইরাসজনিত রোগটি প্রাকৃতিক মহামারি হিসেবে পরিচিত। উত্তর চীনে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটি সাধারণ একটি মৌসুমি রোগ হিসেবে দেখা দেয়। গতকাল বুধবার ঘোষিত কড়াকড়ির নির্দেশনায় সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়। প্রত্যেক বাড়ি থেকে দুই দিনে একবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য একজন লোক বাড়ির বাইরে যেতে পারবে।

গণহারে নমুনা পরীক্ষা এবং লকডাউনের মাধ্যমে চীন জিরো-কোভিড নীতি চালু রেখেছে। ২০২২ সালে দেশটিতে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসবে। এ কারণে এখনকার করোনা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক তৎপর চীন সরকার। শহরটির স্থাপত্যশৈলীর কারণে লোকজনকে টেরাকোটা যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। লকডাউন চলাকালে একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ শহরের বাইরেও যেতে পারবে না।

জি’আন বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা এমন বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুরপাল্লার বাস স্টেশনগুলো। এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া ব্যক্তিগত গাড়ি তল্লাশিতে জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপয়েন্ট। নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়—এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং স্থানীয় সরকারের কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া গত সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকেই পানশালা, ব্যয়ামাগার এবং সিনেমা হলগুলো বন্ধ রয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়া দেশ চীনে এ পর্যন্ত এক লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং চার হাজার ৮৪৯ জন মারা গেছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..