শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলী থানা থেকে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ লুট! এমন আলোচিত ঘটনা জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসুস্থ সাবেক মেয়রের পাশে মানবিক নেতা: হাসপাতালে সাক্ষাৎ করলেন আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান তাড়াইলে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে ‘বিসিক উদ্যোক্তা মেলা-২০২৫’ নলছিটিতে ইয়ুথ আউটরিচ কমিউনিকেইটার টিম গঠনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক

গাইবান্ধায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষন মামলায: একজনের যাবজ্জীবন ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪
  • ৫৮৬৩ বার পঠিত

গাইবান্ধায় ৯ বছরের একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৭ জুন ২০২৪ ইং তারিখ দুপুর ২ ঘটিকায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে রায় প্রদান করেছেন বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল- ২ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মোঃ আ: আলিম @ আঙ্গুর (৩৭), পিতা মৃত আছাব আলী, গ্রাম- পারাইল, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা। মামলার নথি থেকে জানা যায় ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট বিকাল ৬.২০ মিনিট এ বাড়ির পাশে জনৈক শাহারুল ইসলামের দোকানে বাদাম কিনে ফেরার পথে আসামি ভিকটিম মোছাঃ খাদিজা আক্তার বৃষ্টিকে (৯) বিভিন্ন কথা বলার ছলে নিজ বাড়িতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভিকটিম শিশুকে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ধর্ষিত শিশুটি বাড়িতে গিয়ে গোপনাঙ্গের ব্যথায় কান্নাকাটি করলে ভিকটিমের মাতা মোছাঃ বিউটি বেগম কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে ভিকটিম জানায় তার সাথে আসামী খারাপ কাজ করেছে।

পরবর্তীতে ভিকটিম এর মাতা মোছাঃ বিউটি বেগম এজাহারকারী হিসেবে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার জি.আর নাম্বার ৪৯৬/২০১৮, গোবিন্দগঞ্জ থানার মামলা নং – ৪৯ তারিখ ২৮/০৮/২০১৮ । অত্র মামলায় আসামি পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্নাল-২ গাইবান্ধা বদলী হয়ে আসলে মামলা নম্বর হয় ৩৭/২০১৯। বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় অত্র মামলায় ১২ জন সাক্ষী মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। বিচারিক আদালত জেরা জবানবন্দী সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভিকটিম প্রাপ্ত হবেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন ও এপিপি আবেদুর রহমান সবুজ। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবু আলা মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..