ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরেআলেম-ওলামাদের অমানসিক জুলুম, নির্যাতনকরেছে । এমনকি ইসলামের দাওয়াত মাহফিলও তারা গত ১৫ বছর করতে দেয়নি, সবখানেই আওয়ামী লোকদের দিয়ে বাঁধা দিয়েছে। কুরআনের মাহফিল করতে তাদের অনুমতি নিতে হয়েছে। নয়তো বহু মাহফিলের মঞ্চ থেকে আলেমদের পুলিশ দিয়ে আটক করে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে। গত ১৬ আগস্ট মির্জাগঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী চৈতা দরবার শরীফের মরহুম পীরে কামেল ইউনুস (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ কেন এত আলেমকে হত্যা করেছে, কেন আলেমদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে, কেন শাপলা চত্বরে হেফাজতের আলেমদের গুলি করে রক্তাক্ত করা হয়েছে? – তার একটাই কারণ, সেটি হচ্ছে, ইসলামকে বাংলাদেশে দুর্বল করার অপকৌশল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুছে যায়নি, আওয়ামী লীগই আস্তা কুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা ৫৩ বছর ভারতের দালালি করেছে, ভারতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে কিন্তু সফল না হয়ে শেষে পালিয়ে গিয়ে সেই ভারতেই আশ্রয় নিয়েছে। ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত সরকার তাদের কলকাতায় একটি অফিস দিয়েছে। সেখানে বসে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ১২৪ বার ক্যু করার চেষ্টা করেছে। তারা আনসারের মাধ্যমে, পুলিশের মাধ্যমে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমেও ক্যু করার চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইসলাম বান্ধব একটি দল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন আইন করবেনা, ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার আরো উন্নত হবে। আলেম-ওলামা ওয়াজ মাহফিল করতে কোন সমস্যা হবেনা।
সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে বসে এমন কোনো প্রস্তাব নেই যা দেওয়া হয়নি। সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রী, এমপি এমনকি রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু একজন নেতাকর্মীকেও তারা নিতে পারেনি। আগামী ১০০ বছরেও তারা বিএনপির কিছুই করতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায়না, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ এর কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোন কাজ হয় নাই দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের কারণে খালি হাতে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে চায়না ও ওয়ার্ড ব্যাংক আর্থিক খাতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
বিগত দিনে হাসিনা সরকার ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ধর্ম এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য সব রকমের নগ্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে।
পৃথিবীতে সরকার পালানোর ইতিহাস অনেক রয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো এরকম কোনো নজির নেই। সরকার প্রধান পালানোর সাথে সাথে স্পিকার পালিয়েছে, ৩০০ এমপি পালিয়েছে, এমনকি মসজিদের ইমামও পালিয়েছে।
চৈতা দরবার শরীফের মরহুম পীর সাহেবের মাজার জিয়ারতের পর দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, চৈতা দরবার শরীফে পীর সাহেব ছোট হুজুর আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল হক খান, এ সময় অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১নং মাধবখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শাহীন চৌধুরীর পাশা,সাবেক সাব রেজিষ্টার সাদেকুল ইসলাম তালুকদার, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওঃ আঃ সাত্তার আকন, মাওলানা আব্দুল লতিফ, খলিলুর রহমান মাস্টার, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা সহ ইউনিয়ন বিএনপি’ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।