মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মোরেলগঞ্জে ওসি মতলুবর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখার জোয়ার: প্রভাষক আলমগীর হোসাইন তালুকদারকে ঘিরে ভোটারদের নতুন প্রত্যাশা বলিউড কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া প্যারিসের অন্যতম মানবিক ডাক্তার হসপিটাল অ্যামব্রোইজ প্যারে এর অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ চার্লস পিওগার নলছিটিতে কর ফাঁকি রোধে ও শক্তিশালী তামাক নীতি চূড়ান্ত করার দাবিতে মানববন্ধন তাড়াইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারীকে মারধর, স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ চৈতার পীর মাওলানা নুর মোহাম্মদ খান মারা গেছেন ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন: সহিংসতা মূক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইয়াসের খান চৌধুরীর পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে বিশাল গণ জোয়ার 

নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

রিয়াজুল ইসলাম, হাতিয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৮০৮ বার পঠিত
মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম------------------- সংগৃহীত ছবি

নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম (পিতা: আবুল কালাম)-এর বিরুদ্ধে এক তরুণীকে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে সামাজিক চাপের মুখে উভয় পক্ষের সমঝোতায় ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম ইসলামি যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন সদস্য। একইসঙ্গে তিনি নামার বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং নিকটবর্তী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

ঘটনার দিন শাহেদুল ইসলামের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তিনি কৌশলে মেয়েটিকে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। এরপর টানা তিনদিন ধরে জিম্মি করে মেয়েটিকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনদিন পর মেয়েটি বাসায় ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান। প্রথমে মেয়েটি বান্ধবীর বাসায় থাকার কথা বললেও পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, স্থানীয় মুয়াজ্জিন তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নামার বাজার মসজিদে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধর্মীয় দায়িত্বে নিয়োজিত একজন মুয়াজ্জিন ও শিক্ষক যদি এ ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত হন, তবে তা সমাজের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। অনেকেই মনে করছেন, সামাজিক চাপের কারণে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও এটি আইনি বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে পরিবার ও সমাজের চাপে বিয়ের মাধ্যমে আপাত সমাধান করা হলেও অন্যদিকে ন্যায়বিচারের দাবিতে অনেকেই সরব হয়েছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..