রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক দলে সাংবাদিকদের ভূমিকা: দলীয় পদ নাকি পেশাদারিত্ব: আহমেদ আবু জাফর সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফে ১ম হলেন হরিরামপুরের জয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঝালকাঠির নিহত ১০ পরিবারকে জেলা পরিষদের ২০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

বিজয়ের ৫০ বছরেও অরক্ষিত শহীদের স্মৃতিফলক!

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৯৯৮ বার পঠিত

বিজয়ের ৫০ বছরেও অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে ভোলার লালমোহনের ১০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিফলকটি।
লালমোহন পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে ও প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে দেশের এই দশ সূর্য সন্তানের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকটি অবস্থিত। বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-শহীদ তানসেন মৃধা, শহীদ আব্দুল জলিল, শহীদ ছলেমান, শহীদ নুরুল ইসলাম, শহীদ রফিকুল ইসলাম, শহীদ মো. জামাল, শহীদ আ. শহীদ, শহীদ আবুল হোসেন, শহীদ আমির হোসেন ও শহীদ আবু ছায়েদ। দীর্ঘদিন ধরে ফলকটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড। পাশেই দখলে নিয়েছে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানিরা। ফলকটি স্ট্যান্ডের পেছনে ও আড়ালে পড়ে যাওয়ার সুযোগে এখানে মলমূত্রত্যাগ করছে পথচারীরা। ফলে দূষণ ও অরক্ষিত হয়ে অস্তিত্ব হারানোর শঙ্কায় রয়েছে স্মৃতিফলকটি। আর এই ফলকটিকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন উদাসীন। ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে লালমোহন পৌরসভা থেকে এই দশ বীর শহীদদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করা হয়েছিল। উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি আনম শাহ জামাল দুলাল বলেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছরে এসেও বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন অবজ্ঞা আমাদের ব্যথিত করে।’
লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোনো দাবি-আবেদন পাইনি। তবে স্মৃতিফলকটি যেখানে আছে, এখানেই ভালো আছে। কারণ ফলকটি ব্যস্ততম এলাকায় হওয়ায় বীর শহীদদের নামগুলো সাধারণ মানুষসহ নতুন প্রজন্মের চোখে পড়ছে।’ পথচারীদের মলমূত্রত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় কেউ এমন সাহস করে না। তবে রাতের আঁধারে হতে পারে।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..