রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

আদালতে মিথ্যা মামলা করেই বাঙ্গরায় রাতারাতি জমি দখল

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮৭০ বার পঠিত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হাটবলীবাড়ী গ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীর নামে চাদাঁবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে এই জায়গাটি রাতারাতি ভরাট শেষে দখল করে নেয় একটি প্রভাবশালী মহল।

আদালতে ৭জন নিরীহ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা চাদাঁবাজি মামলা করে রাতারাতি জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নাজির হোসেন নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হাটবলীবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাটবলীবাড়ী গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবীর ভুইয়ার স্ত্রী বিলকিছ বেগমের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে একই গ্রামের মৃত মঙ্গল সরকারের ছেলে নাজির হোসেনের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উক্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে নাজির হোসেন কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে একটি চাদাঁবাজি মামলা করেন (যার নং পি-আর ৩৯৩/২০২৩)। উক্ত মামলায় বিলকিছ বেগমের ছেলে সালাম ভুইয়াসহ ৭জন নিরীহ গ্রামবাসীকে আসামী করা হয়। আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বাঙ্গরা বাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এ মামলার ভয় দেখিয়ে আসামীদের ১২ শতক জমি রাতারাতি দখল করে নেয় প্রভাবশালী নাজির হোসেন। ওই জমিতে মাটি ভরাট করে ঘরও তুলেছেন। খবর পেয়ে আসামীগন দিশেহারা হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে জমিটির দখল ফিরে পাবার আশায় বিলকিছ বেগম আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গার দ্বন্দ্বের পর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নাজির হোসেন কোন প্রকার কর্ণপাত করছে না। রাতদিন ওই জায়গায় কাজ করেই যাচ্ছেন।

হাটবলীবাড়ী গ্রামের আবদুল মালেক মাস্টার, হাজী আবু তাহের, নাজির হোসেন মাস্টার, হাজী নজরুল ইসলাম ও শেখ মুজিবুর রহমান মাস্টার বলেন, যাদের নামে চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হয়েছে, তারা এ এলাকার নিরীহ কৃষক। তাদের দ্বারা এ জগন্যতম কাজ করা মোটেও সম্ভব নয়। ঘটনাটি এলাকার কেউ শুনলেই চমকে ওঠে। মূলত জমিটি দখল করার জন্যই ওই মামলাটি সাজানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামীগণ বাদী নাজির হোসেনের কাছে দিন-দুপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামীগণ বাদীর পরিবারের লোকজনকে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাজির হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলা করার পর থেকেই বাদী নাজির হোসেন লাপাত্তা। বার বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাক্ষী প্রমান নিয়ে থানায় আসার জন্য বলা হলেও সে কর্নপাত করছে না। এ বিষয়ে সহসাই আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..