শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আদ্ব দ্বীনের ভয়াল রাত: গর্ভবতী মা ও নবজাতকের জন্য সতর্কবার্তা: সাংবাদিক নাহিদ প্রিন্স বাঙ্গরা বাজার থানাকে উপজেলায় রূপান্তরের দাবিতে জোরালো সমাবেশ মুরাদনগরে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ মৃত্যু আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই: তারেক রহমান এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি দাবি নাহিদের শিক্ষার মানোন্নয়নে মুরাদনগর নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার মুরাদনগরে নিখোঁজের ২০ দিন পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ থামাতেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন : ভূমিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮৭৭ বার পঠিত

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও সাহসিকতার জন্যই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মানুষকে বিরত রাখতেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন দেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সংসদে গতকাল উত্থাপন করা ভূমি বিষয়ক তিনটি বিলের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এই সময় ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভূমি বিষয়ক অপরাধকে ৮টি মৌলিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এসব হচ্ছে ভূমি প্রতারণা- ভূমি জালিয়াতি ও অবৈধ দখল, ক্রেতা বরাবর বিক্রিত ভূমির দখল হস্তান্তর না করা ‘সীমানা বা ভূমির ক্ষতিসাধন; সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমির অবৈধ দখল, প্রবেশ বা কোনো কাঠামো নির্মাণ বা ক্ষতিসাধন, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থযুক্ত বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধ ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন, মাটির উপরি-স্তর কর্তন ও ভরাট করা।

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও আরো ৪ ধরণের অপরাধকে সম্পূরক করা হয়েছে, সে অপরাধগুলো হলো আদেশ অমান্য, অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্ররোচনা, অপরাধ পুনঃ সংগঠন, কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।

ভূমি সংস্কার আইন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমির মালিক হওয়া যাবেনা। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ভূমির ৬০ বিঘার বেশি হলে উত্তরাধিকারী পছন্দমত ৬০ বিঘা ভূমি রাখতে পারবে এবং অবশিষ্ট ভূমি সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ দিয়ে খাস করা হবে।

তিনি বলেন, তবে কেউ যদি ৬০ বিঘা জমি থাকা স্বত্ত্বেও বেআইনিভাবে নামে-বেনামে নতুন করে বেশি জমি ক্রয় করে তাহলে তার অতিরিক্ত জমি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং এক্ষেত্রে সরকার কোনো ক্ষতিপূরণ দেবেনা।

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, এতে ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধের বিচার কাজ প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হওয়ার বিধান রয়েছে। ১৮০ কার্যদিবসে বিচার কাজ শেষ করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান এতে প্রযোজ্য হবে।

তিনি বলেন, ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ, ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ, অবৈধ দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত আদেশ এবং অপরাধ পুনঃ সংগঠনের বিচার ব্যতিত আইনে উল্লেখিত অন্যান্য অপরাধ তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া, ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ অজামিনযোগ্য এবং অন্যান্য অপরাধ জামিনযোগ্য এবং আপোষযোগ্য।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..