শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র তাড়াইলে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদন্ড

পরীক্ষার খাতায় স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বেশী নম্বর প্রদান, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অভিভাবককে হুমকি

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৮৫৭ বার পঠিত

গত বার্ষিক পরীক্ষায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বেশী দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যথাযথ নিয়মানুসারে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা পুন:নিরীক্ষণের জন্য প্রধান শিক্ষকের বরাবরে আবেদন করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোঃ দুলাল ফেরদৌস। পরে সভাপতি ও ইংরেজি শিক্ষকের মাধ্যমে পেপার দেখা হলে অভিযোগ কারীর মেয়েকে যে নাম্বার দিয়েছে তার চেয়ে তিনি ২০ নাম্বার বেশি পেয়েছেন।

জানা যায় গত বার্ষিক পরীক্ষায় অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বিষয় পরীক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয় ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মো. আল আমিনকে। শিক্ষক আল আমিনের কাছে যেসব শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তো তাদের পরীক্ষায় নম্বর বেশি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যাকে প্রথমস্থান দেয়া হয়েছে ওই শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের নিকটাত্মীয়।

এদিকে সর্বমোট ৪ নম্বর ব্যবধানে যাকে দ্বিতীয়স্থানে নেয়া হয়েছে সেই শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্যের মেয়ে।

গতকাল বুধবার ইংরেজি বিষয় পুন:নিরীক্ষণে ৯ নম্বর বেশি পেয়ে অভিভাবক সদস্যের মেয়েকে প্রথমস্থানে এবং পূর্বের প্রথমস্থান অধিকারী শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয়স্থানে নেয়া হয়েছে।

এসময় প্রধান শিক্ষকের সাথে অভিভাবক সদস্যের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে অভিভাবক সদস্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ওই প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ফরিদ উদ্দিন গাজী আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোঃ বজলুল রহমান কিছু বলতে রাজি হন নি।

সহকারী শিক্ষক মোঃ আল আমিন (ইসলাম শিক্ষা) বলেন আমি পেপার দেখে সঠিক নাম্বার দিয়েছি, প্রধান শিক্ষক গ্রামার দেখেছে তার পেপারে কম মার্ক দেয়া হয়েছে।

অবিভাবক মোঃ দুলাল ফেরদৌস বলেন আমি গত ২১-১২-২০২৩ তারিখে প্রধান শিক্ষক বরাবর পেপার পুন:নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক গুরুত্ব দেননি পরে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকালে স্কুল গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন পরে আমি বিষয়টি সভাপতির কাছে জানিয়ে বাসায় চলে আসি।

সভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন গাজী বলেন যেটি হয়েছে সেটি দুঃখ জনক এ বিষয় নিয়ে আমরা বসে সমাধান করবো।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..