শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র তাড়াইলে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদন্ড

পটুয়াখালীতে বোনের জমি দখলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভাই

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৮৪৯ বার পঠিত

জমি ক্রয়ের পর দলিলে উল্লেখিত পরিমাণ জমি সরেজমিনে না থাকা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী জমি দখল করে বাড়ি তৈরীর অভিযোগ উঠেছে ক্রেতার সেনাবাহিনী ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সদর উপজেলার কালিকাপুর ও আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম তালুকদার, করিম তালুকদার ও ছোট ভাই রশিদ তালুকদার মিলে কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব শারিকখালী মৌজায় একত্রে একটি জমি ক্রয় করে। যাহার জে এল-৮৫, খতিয়ান-১৬, দাগ নং- ১১৮৫,১১৭৯,১২৩১,১২৪৩। পরবর্তী ভাগ বন্ঠনের পর মোঃ রশিদ তালুকদার তার অংশে ১৯.৯৪ শতাংশ জমি পায়। এখান থেকে ১৯৯৭ সালে মৃত বারেক আকন ১৫.৫০ শতাংশ জমির ক্রয় করে। অবশিষ্ট থাকে মাত্র ৪.৪৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে ২য় দফায় মোস্তফা বয়াতির মেয়ে মোসাঃ শিরিন ও তার স্বামী মোঃ রাসেল একই খতিয়ান থেকে ৬.২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে। অতিরিক্ত ১.৭৬ শতাংশ জমি সহ ৬.২০ শতাংশ জমি বুঝে নিতে গেলেই বাধে বিপত্তি।

রশিদ তালুকদার দ্বিতীয় বিক্রেতাকে জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে কৌশলে পাশের জমিকে নিজের জমি দাবী করে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। সেনা সদস্য নাইম ও তার পিতা মোস্তফা বয়াতি তার মেয়ে ও জামাই এর জন্য ক্রয় করা জমি রশিদ তালুকদারের কথামতো তড়িঘড়ি করে দখল করে বাড়ি তৈরির চেষ্টা করে। তখনই মৃত রহিম তালুকদার ও করিম তালুকদারের ছেলেরা এসে জমি দখলে বাধা দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ রয়েছে তবে তা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

সরজমিনে দেখা যায়, ১৮ই মার্চ সকালে ওই জমি দখল করার জন্য মোস্তফা বয়াতি শ্রমিক নিয়ে ভিটি তৈরির কাজ করছে ও গাছপালা কেটে ফেলছে। তার ছেলে সেনা সদস্য মোঃ নাঈম জমি দখলের কাজে সেখানে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করছে। তবে জমির ক্রেতা নাঈমের বোন শিরিন ও তার স্বামী সেখানে উপস্থিত ছিল না।

নিজাম তালুকদার বলেন, বারেক আকনের নিকট জমি বিক্রির পর অবশিষ্ট আছে ৪.৪৪ শতাংশ। মোস্তফা বয়াতি তার সেনাবাহিনী ছেলে নিয়ে জোর করে ৬.২০ শতাংশ জমি দখল করতেছে। অতিরিক্ত ১.৭৬ শতাংশ জায়গা আমাদের।

ক্রেতা শিরিনের ভাই সেনা সদস্য নাইম বলেন, আমি শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সেনা সদস্য। ছুটি পেয়েছি তাই বোনকে সহযোগিতা করছি। আজই আমার ছুটি শেষ তাই কাজ শেষ করে যেতে চাই।

মোস্তফা বয়াতি বলেন, এই জমিতে চৌহদ্দি দেওয়া আছে এক পাশে খাল। আমার জমি ৬.২০ শতাংশ। আমার বড় ভাই বলেছে কাগজপত্র তোগো তাই জমিও তোদের।

জমি দাতা রশিদ তালুকদার বলেন, ওই খতিয়ানে আমরা তিন ভাই প্রত্যেকে আরও ১.৩৩ শতাংশ করে জমি পাব। যার দলিল খুঁজে পাচ্ছি না তবে নকল উঠাতে দিয়েছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..