বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলন, প্রাপ্তি ও সক্ষমতা ! ঝালকাঠিতে যুব সংগঠনের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি পূরণ, আন্দোলন প্রত্যাহার বাগেরহাট-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা তাড়াইলে যুব সমাজের উদ্যোগে সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত আমতলীতে জেলে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রকৌশলী আল মামুনের দাফন সম্পন্ন বরুন বাড়ীয়া ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন মোরেলগঞ্জে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান: মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ, দুই ফার্মেসিকে জরিমানা

ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে জাল দলিল করার অভিযোগে সাব রেজিস্ট্রার তনু রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৮৫২ বার পঠিত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জাল বিআরএস পর্চা মাধ্যমে ২০১৫ সালে জাল দলিল সম্পাদন করায় ওই কার্যালয়ের তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার, দলিল লেখক, দাতা-গ্রহীতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

২১ অক্টোবর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের ওই কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার ৯ জনকে আসামিরা হলেন, আলফাডাঙ্গার তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় (৩৮), দলিল দাতা শুকুরন নেসা (৮৫), দলিল গ্রহীতা তিন বোন রাশিদা বেগম (৪৪), নুরজাহান বেগম (৫২) ও হাসি বেগম (৪২), দলিলের সাক্ষী মোহাম্মদ নূর ইসলাম (৪৮), বাচ্চু মিয়া (৪৫), শনাক্তকারী আবুল কালাম (৬৫) ও দলিল লেখক আলী হায়দার মিয়া (৫৫)। মারা যাওয়ার কারনে মামলার আরেক আসামি দলিল দাতা শুকুরন নেসার স্বামী মোক্তার হোসেনকে আসামি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দুদক সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিলজোয়ারিয়া গ্রামের টিওরপাড়া মৌজায় ডোবা শ্রেণির ৩৯ শতাংশ, বাড়ির ৩২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং নাল জমির ২ দশমিক ৭১ শতাংশসহ মোট ৭৪ শতাংশ জমির মালিক ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. পান্নু বিশ্বাস ও তার চার ভাই। তবে জমি নিজের পৈত্রিক দাবী করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোক্তার হোসেন। এ নিয়ে পান্নু বিশ্বাস ও মোক্তার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘ দিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

২০১৫ সালের চার অক্টোবর আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই ৭৪ শতাংশ জমি জাল বি.আর.এস. পর্চার মাধ্যমে স্ত্রী শুকুরন নেসা ও মোক্তারের তিন মেয়ে রাশিদা বেগম, নুর জাহান বেগম এবং হাসি বেগমের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায়। এ কাজে তাদের সাহায্য করেন, দলিল লেখক আবুল কালাম, দলিল শনাক্তকারী মো. বাচ্চু মিয়াসহ অন্যান্য আসামিরা।

দুদক আরো জানায়, নিজের জমি বেহাত ও জাল কাগজে দলিল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দীর্ঘদিন পর জানতে পারেন জমির মূল মালিক পান্নু বিশ্বাস ও তার চার ভাই।

পরে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে নালিশী দরখাস্ত করেন পান্নু বিশ্বাস। অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুদককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে দুদক ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দুদক ঢাকা কার্যালয়ের অনুমতি চায়। গত ৮ অক্টোবর দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিলে ২১ অক্টোবর মামলা করা হয়।

এ মামলার আসামি ২০১৫ সালে আলফাডাঙ্গার সাব-রেজিস্টার তনু রায়। তনু রায় বর্তমান রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রির অফিসে কর্মরত রয়েছেন। তনু রায় বলেন, এটি ছিল একটি হেবা দলিল। আমি দলিল করার যাবতীয় কাগজপত্র দেখে দলিল করে দিয়েছি। বিআরএস পর্চা জাল কিনা তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে দুদক আমাকে তলব করলে গত এপ্রিলে আমি দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। এর পর তো আমার নামে মামলা হওয়ার কথা নয়। এ মামলার খবর শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাস বলেন, আলফাডাঙ্গার সাব-রেজিস্টারসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনিত অসদাচরণের অভিযোগসহ দণ্ডবিধির আরও পাঁচটি ধারায় মামলা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত করে দুদক ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেবে

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..