সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক দলে সাংবাদিকদের ভূমিকা: দলীয় পদ নাকি পেশাদারিত্ব: আহমেদ আবু জাফর সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফে ১ম হলেন হরিরামপুরের জয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঝালকাঠির নিহত ১০ পরিবারকে জেলা পরিষদের ২০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

বন্দরে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই বিএনপি নেতার দ্বন্দ্ব

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৮০৭ বার পঠিত

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন লক্ষণখোলা এলাকায় চাইনিজদের মালিকানাধীন একটি ব্যাটারি কারখানা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন স্থানীয় দুই বিএনপি নেতা। কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বন্দর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া দুই দফায় ৫ লাখ টাকা করে চাঁদার টাকা গ্রহণ করেন। ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরীর ভেতরে অবস্থিত সিসিটিভির ফুটেজে চাঁদা নেয়ার দৃশ্য রয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতা ফারুক হোসেন এবং চুন্নু মিয়া সরাসরি এসে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এই অজুহাত তুলে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ব্যাটারী কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আপোষ রফায় গত ১০ অক্টোবর এবং ১৫ অক্টোবর দুই দফায় কারখানার অফিস থেকে ৫ লাখ করে চাঁদা নিয়ে যায় বিএনপির এই দুই নেতা। আদায়কৃত টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনের সাথে সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়ার বিরোধ বাঁধে। এই বিরোধের জের ধরে গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষণখোলা মাদ্রাসা স্ট্যান্ড সংলগ্ন চুন্নুর অফিসে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারী কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া তারই সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজু, রাজু, বাবুসহ ১২ জনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে বন্দর থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এলাকাবাসী জানায়, ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরী থেকে আদায় করা ১০ লাখ চাঁদাবাজির টাকার বেশির ভাগ অংশই চুন্নু মিয়া নিজের কাছে রেখে দিলে সভাপতি ফারুক হোসেনের সাথে তার বিরোধ বাঁধে। মামলার এজাহারে স্থানীয় তিন ব্যবসায়ী সাজু, রাজু ও বাবুকে আসামী করে ভিন্নভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা চালাচ্ছে ফারুক হোসেন ওরফে চুন্নু মিয়া।

এদিকে চুন্নু মিয়া টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, তার সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া মামলার এজাহারের যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ১ নভেম্বর মাদক বিরোধী শোডাউন করায় ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন ও বাহিনীর সদস্যরা তার অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।

ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরী থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা উঠানোর অফিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..