বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

হলুদ রঙে সেঁজেছে মুরাদনগরের বিস্তীর্ণ মাঠ, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৬৮ বার পঠিত

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙের মাখামাখি। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরিষা ক্ষেতের চেহারা দেখে পুলকিত কৃষক। প্রকৃতি যখন রূপ বদলায় তখন গ্রামাঞ্চলের ফসলের মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ চোখে পড়ে। গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ে হলুদ রঙের ছটা। মাঠজুড়ে সরিষার ফুলের সমারোহ যেন নতুন জীবনের বার্তা নিয়ে আসে। এসব ফুলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতি প্রেমীরা সরিষা ক্ষেত দেখতে আসছেন, ছবি তুলছেন এবং সেলফি নিচ্ছেন। সরিষা চাষের সঙ্গে সঙ্গে মৌচাষও করছেন অনেকে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সবে মাত্র উঁকি দিচ্ছে সদ্য ফোটা সরিষা গাছের হলুদ বর্ণের ফুল। শীতের হিমেল হাওয়া, সরিষার রঙিন সমারোহ, আর মাঠের পেছনে বিস্তৃত সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে এক অপরূপ দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সরিষা ফুলের সঙ্গেই যেন মিশে আছে হাজারও কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। চলতি রবি মৌসুমেও সরিষা চাষে লাভের স্বপ্নে বিভোর উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯ ও বিনা-১১ সহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৯ হাজার ৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে জন প্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কৃষক মিজান জানান, এই এলাকায় সরিষার চাষ বেশ ভালোই হয়। এই সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখতে উপজেলা শহর থেকে অনেকে আসেন। আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত গাছের অবস্থা বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে ভালো ফলনের আশা করছি।

সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সরিষার চাষ হয়েছে। ক্ষেতগুলো ফুলে ভরে গেছে। সবুজ মাঠজুড়ে হলুদ রঙ ছড়াচ্ছে। এ সৌন্দর্য্য দেখতে ও ছবি তুলতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, গ্রমের অনেক লোকজন শহরে বসবাস করে। শীত মৌসুম আসলেই অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে সরিষা ক্ষেত দেখতে শহর থেকে গ্রামে ছুটে আসেন। এটা বেশ ভালো। শহরের যান্ত্রিক জীবনযাপন ভেদ করে কিছুটা সময় হলেও শেকড়ের গন্ধ পান তারা। তিনি আরো বলেন, এবার অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। সরিষার চাষ আরও বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের প্রনোদণা দেওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..