ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বাস্তুচ্যুতির লক্ষ্যে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ তা অস্থায়ী বা স্থায়ী সমাধান হিসেবেই হোক না কেন এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
আজ এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওআইসি বলেছে, ‘ওআইসি এই ধরনের পদক্ষেপগুলোকে ফিলিস্তিনি সমস্যাকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখে, যাকে তারা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলোর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে মনে করে।’
ওআইসি ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভূমি ও পবিত্র স্থানগুলোতে অধিকারের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের বিষয়ে তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণের আহ্বান জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান এবং ঔপনিবেশিক বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বানও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওআইসি ফিলিস্তিনি অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ব্যাপক প্রত্যাহারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ওআইসি গাজা উপত্যকা জুড়ে উল্লেখযোগ্য মানবিক সহায়তা প্রদানের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে যাতে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী তাদের সম্প্রদায়ে পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা করতে পারে।
ওআইসি ফিলিস্তিনি সরকারকে আঞ্চলিক ঐক্য বজায় রাখার দায়িত্ব পালনের জন্য সমর্থন জানিয়েছে, যার মধ্যে গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব আল-কুদস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়াও, ওআইসি চলমান মানবিক সংকট মোকাবেলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন উদ্যোগের পাশাপাশি জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
ওআইসি ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগ এবং প্রত্যাবর্তনের অধিকারসহ তাদের বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
ওআইসি ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে রাজধানী আল-কুদসসহ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।
ওআইসি প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং আরব শান্তি উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই অঞ্চলে একটি ন্যায়সঙ্গত, স্থায়ী এবং ব্যাপক শান্তি অর্জনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।