পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বসাক বাজার এলাকার বল্লভপুর নামক স্থানে জমিজমা বিরোধে মামলা করায় আসামিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের হামলায় বাদী পক্ষের ৭ জন জখম হয়। আহতরা সকলেই পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয় এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী এবং বিবাদী উভয়পক্ষের লোকজন একই বংশের। জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে অনেকদিন তাদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। বিগত দিনে আসামী পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক জমি দখল করায় একটি ফৌজদারি মামলা করেন। মামলার জেরে আসামিরা বাদী পক্ষের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এর জেরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বেলা ২ টায় জুমার নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে বাদী পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে। এতে মোঃ সজিব মাদবর, মোঃ হাসিব মাদবর, মোঃ রাজ্জাক মাদবর, মোঃ সুজন মাদবর, আকলিমা বেগম সহ ৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে আহত ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোঃ আইয়ুব আলী মাতুব্বর বাদী হয়ে ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেন। উল্লেখিত আসামিরা হচ্ছেন,জব্বার মাদবর, কবির মাদবর, জাকারিয়া মাদবর, হেলাল মাদবর, রাকিব মাদবর ও রাতুল মাদবর।
আরো জানা যায়, হামলার সময় জব্বার মাতবর সজীব মাতবর এর উপর ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে মাথা ও হাতের কনুই কেটে যায় এবং ২০টি সেলাই লাগে । কবির মাদবর রামদা দিয়া হাসিব মাদবরের মাথায় ও বাম হাতে কোপ দেয় যাহাতে ৯টি সেলাই লাগে।আসামী জাকারিয়া মাতবর এর কোপে রাজ্জাক মাদবর এর মাথা ও গাল কেটে যায় এতে তার ১৪টি সেলাই লাগে, আসামী হেলাল মাদবর এর দায়ের কোপে সুজন মাদবরের বাম হাতে গুরুতর জখম হয়। আসামী রাব্বি মাদবর রামদায় আকলিমা বেগমের মাথায় কোপ লাগে যাহাতে তার ১৫টি সেলাই লাগে, আসামী রাতুল মাদবর এর লোহার রড এর আঘাতে আবু সাইদ এর আংগুল ভেঙ্গে যায়, এছাড়াও কাশেম মাদবার নামে একজন গুরুতর আহত হয়। হামলার সময় আসামিরা ১লক্ষ্য ২০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জন উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার একদিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় একটি মামলা হয়।
পটুয়াখালীর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ বলেন, এ ব্যপারে মামলা চলমান। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..