বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৪ শিশু নান্দাইলে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ইউএনওর ভিজিএফ চাল বিতরণ ভোটাধিকার চাইলে সেটি যদি ‘অপরাধ’ হয়, তবে বিএনপি সেই ‘অপরাধ’ বারবার করবে: ড. কাজী মনির গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা স্থিতিশীল বাজারে স্বস্তিতে ক্রেতারা : আসিফ মাহমুদ সমৃদ্ধির পথে যেতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মুজিবনগরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হবে জাপান, বাড়বে সে দেশের বিনিয়োগও : প্রেস সচিব এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট

মুরাদনগরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসবে অভিভাবক সমাবেশ

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৭৭ বার পঠিত

“নতুন ধানে, নতুন প্রাণে, চলো মাতি পিঠার গানে” এই স্লোগানে কুমিল্লার মুরাদনগরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরকে নিয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে সেন্টার স্কুল মাঠে এই পিঠা উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসবটি উদ্বোধন করেন। তবে এই পিঠা উৎসবের ভিন্নতা এনে দিয়েছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের “প্রতিভা” স্কুলের দর্শকদের উপস্থিতি। তারা আর সবার মতো না, বলতে গেলে যারা সমাজে উপেক্ষিত তাদের জন্যই এ উৎসব।

আলাদা ধরনের এ উৎসবে সাজ পিঠা, শিশ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, জামাই পিঠা, খির সন্দেশ, সুজি পিঠা, তেলের পিঠা, পুলি পিঠা, দুধ পুলি, পায়েস, নারকেল নাড়ুসহ অন্তত ২৫-৩০ প্রকারের পিঠার আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের কাছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের পিঠা-পুলি-পায়েস পরিচিত করানোই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীসহ তাদের অবিভাবকরা।

প্রতিভা স্কুলের রুকন কুমার, জুনাইদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আকার ইঙ্গিতে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বুঝাতে চেষ্টা করেন। এ উৎসবে আসতে পেরে তাদের খুবই আনন্দ হচ্ছে। নতুন নতুন মজাদার পিঠা খেয়ে তাদের ভালো লাগছে।

অভিভাবক নাদিরা আফরিন, রহিমা বেগম, ফাতেমা আক্তার, মনি আক্তার ও ঝুমা সাহার সাথে কথা হলে কর্তৃপক্ষের এই ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের বাচ্চাদের জন্য অনেক উৎসাহের। বাচ্চারা বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচিত হতে পেরেছে এবং বাচ্চারা অনেক আনন্দ পেয়েছে।

তারা আরোও জানান, এই বিদ্যালয়টি হওয়ার পরে তাদেরকে আর অর্থ ব্যয় করে শহরের স্কুলে যেতে হচ্ছেনা। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের লোকজন তাদের বাচ্চাদেরকে এখানে নিয়ে আসতে পারছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থী অনুযায়ী জায়গা স্বল্পতার কথাও জানান অভিভাবকরা। পাশাপাশি একজন স্পিচ থেরাপিস্ট দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

স্কুলটির পরিচালকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা শারমিন ফাতেমা জানান, এ ধরনের আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই খুশি। কারণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাংলার হরেক রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার নূপুর, সমাজসেবা কর্মকর্তা বরুণ দে, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সেন্ট্রাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুস সাত্তার, প্রতিভা স্কুল পরিচালনা কমিটির কোষাধক্ষ্য সুফি আহমেদ, বিএডিসি’র উপ সহকারী প্রকৌশলী কাউছার আল মামুন, ফিজিওথেরাপিস্ট এন এম মাহমুদুল হাসান প্রমূখ। স্কুলের মাঠে এই পিঠা উৎসব উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারী কর্মকর্তাদের একটি মিলনমেলা ঘটে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..