খুন ও মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী নাসির মৃধার অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য সাধারণ মানুষ ,আওয়ামী নাসির মৃধা পূর্বের নেয় জমি জবর দখল আবার নতুন করে শুরু করেছে । জোড় করে ফসলী জমিতে ঘের ও পুকুর খনন করা হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ করেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউপির তেলিখালী,৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো:সুলতান মোল্লা, পিতা, মৃত ইয়াসিন মোল্লা ও তার পরিবার।
মঙ্গলবার ৩ মার্চ মাগরিববাদ পটুয়াখালী জেলা রিপোর্টাস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে ৩ পাতার লিথিত বক্তব্য তুলে ধরেন ভোক্তভোগী সুলতান মোল্লার হয়ে তার চাচা মো: ইয়াসিন মোল্লা।
এ সময় তাদের সাথে স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশিসহ সুলতান মোল্লার মা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সুলতান মোল্লার হয়ে তার চাচা বলেন,
আমাদের নিজ ক্রয় কৃত ফসলী জমি যাহা দীর্ঘদিন যাবত আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভোগ করে আসছি।
আমার বা আমাদের পরিবারের কারও সাথে কোন দিন আমার নিজ এলাকা বা বর্তমানে পেশাগত স্থানে কোন ব্যাক্তির কোন প্রকার বিবাদ নেই,আমার পিতা মারা যাবার পর আমি আমার মাকে নিয়ে খুব কষ্টে কোন রকম দিন যাপন করে আসছি ।
বিগত ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহোদয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনে অংশগ্রহণ করিলে আমাকে সে সময় থেকে আজ অবদি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ভূমি দস্যু ও মাদক ব্যাবসায়ী বাংলাদেশ কৃষক লীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার ২৫ নাম্বার সদস্য কৃষি পণ্য ও ফসল বিষয়ক সম্পাদক মো; নাসির মৃধা ,
পিতা ইউনুচ অলী মৃধা বিভিন্ন ভাবে কখনো জমি জবরদখল আবার কখনো অনৈতিক ভাবে নানান অযুহাতে চাঁদা দাবি করে আসছিল । চাঁদা না দিলে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে আমাদের । গত ৫ ই আগষ্ট জুলাই বিপ্লবের পর সারা দেশের নেয় আত্মগোপনে চলে যায় মাদক ব্যাবসায়ী খুনি নাসির মৃধা।
সম্প্রতি সময়ে ছয় মাস পার হলে আবার উদয় হয় নাসির মৃধার । এরপর দিনের বেশির ভাগ সময়ে আত্মগোপনে থাকলেও রাতে তাকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। বিগত দিনে নাসির মৃধার ছেলে শাহিন মৃধার মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী তান্ডব করে বেড়ানো এবং কালো টাকা আর সরকারি জমি জবর দখল করে ব্যাপক অর্থবৃত্তের মালিক বনেজান নাসির মৃধা।
অবৈধ ভাবে অর্জিত কালো টাকার ফলে বিভিন্ন সময়ে মাদক,খুন,হামলা,লুটের মতন ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যেতো ।
বিভিন্ন সময়ে নানান অপরাধে মামলা অভিযুক্ত হলেও কালো টাকার প্রভাবে সব সময়ে ছিলো নিরপাদ দূরত্বে।’
লিখিত বক্তব্য পাঠকরা শেষে ভোক্তভোগী সুলতান মোল্লা বলেন, নাসির মৃধা ও তার ছেলের মাদক ব্যবসা এবং খাল দখল করে পাঁকাভবন নির্মাণ করা এবং নিজ দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোড় করে কেনাকাঁটা করতে বাদ্য করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা,খুনের মতন মামলার আসামী আমি ও আমার পরিবার এই সন্ত্রাসের হাত থেকে যাতে করে নিজ ফসলী জমি জমা ফিরে পেতে পাড়ি তার জন্য বর্তমান সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের পত্রি জোরালো দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন গায়ের জোড়ে ঘের খননের বিষয়টি বিভিন্ন পেপার ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে প্রকাশ হলে পর দিন কিছু সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য প্রমাণ পেশ করে এবং গনমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করায় নাসির মৃধা, যা সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যে ও বানোয়াট ।
সংবাদ সম্মেলনে আগত স্থানীয়রা জানান,আমরা সব সময় তার অত্যাচারের ভয়ে থাকতাম,কোন কিছু তার মতের বিরুদ্ধে গেলে তাকে হতে হয়েছে গ্রাম ছাড়া অথবা মিথ্যা মামলার অসামী হয়ে যেতে হয়েছে জেলে,তার জন্য আমরা এতোদিন কিছু বলতে পারি নাই,আমরা চাই বর্তমান সময়ের দেশের আইন ব্যাবস্থা ভালো এ সময়ে এদের বিরুদ্ধে বলা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ভোক্তভোগীদের কাছে উক্ত বিরোধ কৃত জমির মালিকানা কাগজ এবং নাসির মৃধার বিরুদ্ধে মাদক ও খুনের মামলার যে অভিযোগ করা হলো তার কোন প্রমাণ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সুলতান মৃধা বলেন, বিরোধকৃত জমির মালিকানা কাগজ আমাদের বৈধ এবং আমরা উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছি যার রেজিষ্টারি দলিল রয়েছে এবং খুন,মাদক,জমি ও সরকারি খাল জবর দখল,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে যার প্রমাণ ভালো করে তদন্ত করলে সব উঠে আসবে বলে তিনি দাবি করেন ।
এ সময়ে সুলতান মোল্লার মা জানান,তার স্বামির রেখে যাওয়া চাষের ফসলী জমি টুকু সরকার বাহাদুর ও প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা ঐ ভূমিদস্যুর হাত থেকে আমার জমি রক্ষাকরে আমাকে ফিরিয়ে এনেদেন এবং আমার সন্তানদের ওর হাত থেকে রক্ষা করেন,
নাসির মৃধা প্রতি রাতে আমাকে হুমকি দেয় প্রাণে মেরে ফেলবে ওর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করেন ।